নয়াদিল্লি, ১৪ নভেম্বরঃ সুপ্রিম কোর্ট একটি মামলায় ২৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছে বুলডোজার মামলায়। বুধবার বিচারপতিদের মন্তব্যে আশায় বুক বাঁধছেন উত্তরপ্রদেশের লখনউ-এর উদ্বাস্ত পরিবাররা। উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ এবং দোষী অফিসারদের সাজা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলে ইউপির আকবর নগরের ১৮০০ বাড়ির মালিক আইনি পরামর্শ নেওয়ার জন্য জটলা করছে।
অধিকাংশ পরিবার রাস্তার পাশে তাঁবুর মধ্যে দিন গুজরান করছে বুলডোজার চলার পর। জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ বুলডোজার মামলা নিয়ে আইনি লড়াই করছে তারা। সাধ্য মতো মদদ করেছে গৃহহারাদের। এমন কিছুটা আশার আলো দেখছে। হয়তো ক্ষতিপূরণ পাওয়া যেতে পারে যোগী সরকারের কাছ থেকে।
কিছু মানুষকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অধীনে ঘর দেওয়া হলেও প্রায় ৩০ হাজার মানুষ এখনও ছিন্নমূল। লখনউয়ের সমাজ কর্মী মুহাম্মদ নায়ীম বললেন, বিকল্প ব্যবস্থা না করেই সরকার গৃহহারা করে দিল হাজার হাজার মানুষদের। এখন সুপ্রিম কোর্ট এটাকে খারাপ বলছে, ক্ষতি পূরণের নির্দেশ দিয়েছে কিন্তু সরকার কোর্টের কথা মানবে কতটা?
সপা এমএলএ শাহজিল ইসলাম বলেন, সরকার প্রতিহিংসার বশে বুলডোজার চালিয়েছে আর এখন চাপের মুখে বলছে আইন মেনেই বুলডোজার চলেছে। প্রয়াগরাজ ডেভেলপমেন্ট অথরিটির সচিব অজিত সিং জানালেন, যেসব দোকান ও ঘর অনুমতি নিয়ে তৈরি নয় সেগুলি ভাঙা হয়েছে। আজ নোটিশও পাঠানো হয়েছিল, তারা কেউ আসেনি।
যাইহোক ছিন্নমূল মানুষদের প্রশ্ন তারা কীভাবে আইনি লড়াই করবে প্রত্যেকেই এখন নিজ নিজ সমস্যা নিয়ে কোনওভাবে দিনগুজরান করছে। ছেলে-মেয়েদের পড়াশুনায় বাধা পড়েছে, জীবীকা বন্ধ অনেকের তাই সুপ্রিম কোর্টের রায় শুনলেও কিন্তু একেবারে আশাবাদী নয় বহু গৃহহারা। মিডিয়া কর্মীরা ছুটে গিয়েছিল আকবরনগরে যেখানে এশিয়ার বৃহত্তম উচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে বুলডোজার নিয়ে।
গৃহহারাদের সঙ্গে কথা বলছেন, জানতে চাইছেন, তারা দেখছেন করুণ পরিণতি, অনেকেই নিজের কথা বলতে গিয়ে কান্নায় বুক ভাসিয়ে দিচ্ছেন মিডিয়ার সামনে। তবুও প্রশংসা করছে হয়তো ক্ষতিপূরণ পাবে ফের ফিরতে পারবে সমাজ জীবনে।