জম্মু,২৩ নভেম্বর: বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বুলডোজ়ার ছুটছে— গত কয়েক বছর ধরেই। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর লোকমুখে নামই হয়ে উঠেছে ‘বুলডোজ়ার বাবা’, এখন তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করছে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানও। দেখা যাচ্ছে, ব্যক্তিবিশেষের বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগে কিংবা স্রেফ সন্দেহেও বুলডোজ়ার এনে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে স্থাবর সম্পত্তি। তবে এবারে জম্মু-কাশ্মীরেও দেখা গেল বিজেপির দেখানো সেই সেই বুলডোজার নীতি।
জম্মুর লোয়ার রূপ নগরে প্রশাসন কাশ্মীরি পণ্ডিতদের প্রায় এক ডজন দোকান বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছে। কাশ্মীরি পণ্ডিতরা এই বুলডোজারের কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ। কিন্তু প্রশাসন বলছে, অর্থনৈতিকভাবে দুর্বলদের জন্য এখানে ফ্ল্যাট তৈরি করা হচ্ছে। জম্মুর লোয়ার রূপনগরে বাস্তুচ্যুত কাশ্মীরি পণ্ডিতদের প্রায় এক ডজন দোকান ভেঙে দিয়েছে প্রশাসন। জম্মু ডেভেলপমেন্ট অথরিটি এই বুলডোজার অভিযান চালিয়েছে। তিন দিন আগে ঘটে যাওয়া এই বুলডোজারের বিরুদ্ধে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ক্ষোভ থামছে না। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের দাবি যে, এই দোকানগুলিই ছিল তাদের জীবিকা নির্বাহের একমাত্র উপায়, যা সরকার তাদের কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছে।
এদিকে, জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি বুলডোজারের পদক্ষেপ নিয়ে ওমর আবদুল্লাহ সরকারকে কটাক্ষ করেছেন। তিনি লিখেছেন অভিযোগ জেডিএ কোনও পূর্ব নোটিশ ছাড়াই তাদের দোকান ভেঙে দিয়েছে। মুফতি, মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহর কাছে অবিলম্বে এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে নীরবতা ভাঙার দাবি জানান। বিনা নোটিশে এই বুলডোজারের ঘটনায় প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানিয়েছে বিভিন্ন মহল।
যদিও সংবাদমাধ্যমকে প্রশাসন জানায়, জম্মু উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (জেডিএ) জমিতে পুরনো দোকানগুলো ছিল। কমিশনার অরবিন্দ কারওয়ানি পরিস্থিতি মূল্যায়ন করতে এলাকা পরিদর্শন করেছেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের আশ্বস্ত করেছেন যে এলাকায় তাদের জন্য নতুন দোকান তৈরি করা হবে। কমিশনার বলেন, এসব দোকান জেডিএর জমিতে।
এই পুরো বিষয়টি সম্পর্কে, বিজেপি, পিডিপি, অন্যান্য রাজনৈতিক দল এবং অনেক কাশ্মীর পণ্ডিত সংগঠন জেডিএ-র পদক্ষেপের নিন্দা করেছে এবং বাস্তুচ্যুত সম্প্রদায়ের জন্য নতুন দোকান নির্মাণের কথা বলেছে। যাতে এটি তাদের জীবিকা নির্বাহে সহায়তা করতে পারে।