পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: সুপ্রিম শুনানির আগে জুনিয়র ডাক্তারদের ফের বৈঠকের আহ্বান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আজ বিকেল ৫ টায় বৈঠক হবে। পৌনে ৫ টার মধ্যে তাদের সকলকে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে।
৩০ জন ডাক্তারের প্রতিনিধিদের বৈঠকে বসার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মুখ্যসচিব স্পষ্ট করে চিঠিতে জানিয়ে দিয়েছেন, বৈঠকে কোনও লাইভ স্ট্রিমিং বা ভিডিয়োগ্রাফি হবে না। সেইসঙ্গে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, এটা তৃতীয়বার বা শেষ দফায় আলোচনার জন্য ডাকা হচ্ছে। বৈঠকের পরে দুপক্ষের স্বাক্ষর করা কার্যবিবরণী উভয় পক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এই মুহূর্তে ডাক্তারা জেনারেল বডির মিটিংয়ে বসতে চলেছেন। সেখানেই তারা এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন কিনা বা কি পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা আলোচনার মাধ্যমে ঠিক হবে।
আগে দুবার বৈঠকের জন্য একবার নবান্ন ও পরবর্তীতে কালীঘাটে আয়োজিত বৈঠক ভেস্তে যায়। দুবারই চিকিৎসকদের দাবি ছিল লাইভ স্ট্রিমিং বা ভিডিয়োগ্রাফি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, সুপ্রিম কোর্টে মামলা বিচারাধীন তাই লাইভ স্ট্রিমিং বা ভিডিয়োগ্রাফি সম্ভব নয়। এরপর শনিবার কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে ডাকা বৈঠক ভিডিয়ো করার দাবিতেই বানচাল হয়ে যায়। মুখ্যমন্ত্রী বাসভবন থেকে বেরিয়ে এসে জুনিয়র ডাক্তারদের ভিতরে যাওয়ার অনুরোধ করলেও তারা নিজেদের দাবিতে অনড় থাকেন। প্রায় তিনঘন্টা ধরে চলে এই অনুরোধ থেকে দু পক্ষে কথা বিনিময় পর্ব। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেদিনের বৈঠক আর হয়নি। এবার তৃতীয় দফার বৈঠকের আহ্বান রাজ্য সরকারের তরফে।
জুনিয়র চিকিৎসকদের মেইল করে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থা জানিয়েছেন, শনিবার যারা কালীঘাটের বাড়িতে গিয়েছিলেন তারাই যেন বৈঠকে আসেন। মেইলে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৯ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা ছিল, তাতে জুনিয়র চিকিৎসকদের ১০ সেপ্টেম্বর বিকেল পাঁচটার মধ্যে কাজে যোগ দেওয়ার জন্য। সর্বোচ্চ আদালতের সম্মান জানানোর কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর কাণ্ডে শুনানি। তার আগেই মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা খুবই সদর্থক বার্তা বলেই রাজনৈতিক মহলে মনে করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, তাদের যে পাঁচটি ছিল সেই দাবিগুলি থাকছে। আন্দোলনকারি ডাক্তারদের বক্তব্য, তারা চান এই আলোচনার মধ্যে স্বচ্ছতা বজায় থাকুক।