পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ ৩১ জানুয়ারির পরিবর্তে ২৮ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে বইমেলা। আগে ৩১ জানুয়ারি বইমেলা হওয়ার কথা ছিল। করোনা আবহে চার সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হল বইমেলা। মেলা কতদিন চলবে, তা নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে বিস্তারিত বৈঠক হবে গিল্ডের। মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা গিল্ডের। তার পরেই বইমেলা সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয় জানানো হবে।
প্রসঙ্গত, এবছর অনুষ্ঠিত হতে চলেছে কলকাতার ৪৫ তম বইমেলা। আগে ৩১ জানুয়ারি বইমেলা শুরু হয়ে চলবে ১৩ ফেব্রুয়ারি শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার বাড়-বাড়ন্তের কারণে পিছিয়ে গেল মেলা শুরু হওয়ার তারিখ। থিম হবে বাংলাদেশ। কোভিডের কথা মাথায় রেখে এবছর ভার্চুয়ালি বইমেলা দেখার ব্যবস্থা করা হয়। এবারের বই মেলায় উদযাপিত হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্ম শতবর্ষ। পালিত হবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মবর্ষ। এছাড়া ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর এবং সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবর্ষ। তবে অতিমারির মধ্যে কঠোর ভাবে মেনেই হবে বইমেলা।
বুক সেলার্স অ্যান্ড গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায়– সভাপতি সুধাংশুশেখর দে জানিয়েছিলেন, ডবল ভ্যাক্সিনেশন ও মাস্কের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। মাস্ক ছাড়া মেলা প্রাঙ্গণে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না। থাকবে ই-পাসের ব্যবস্থা। প্রতিটি মণ্ডপ হবে খোলামেলা। মাঠের মধ্যে যতটা সম্ভব উন্মুক্ত ফাঁকা এলাকা রাখতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ওপর জোর দেওয়া হবে। প্রয়োজন পড়লে স্টলের মাপ কমাতে হবে।
তবে ফের করোনা ও করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের দাপটে অনেক কর্মসূচীর পরিবর্তন হচ্ছে। আগামীকাল, অর্থাৎ মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে গিল্ডের বৈঠকের পরেই বইমেলা নিয়ে পরবর্তী কর্মসূচী তৈরি হবে।