উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায় , কুলতলি : মাঝি বিহীন নৌকায় দড়ি ধরে পারাপার সুন্দরবনে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকা দিয়ে যাতায়াত পিয়ালী নদীতে, দাবি তুললেন স্থানীয়রা কংক্রিটের ব্রিজ তৈরির। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনের জয়নগর ও কুলতলি থানার মধ্যস্থ পিয়ালী নদীতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দাঁড়হীন নৌকায় দড়ি ধরে খেয়া পারাপার বহু বছর ধরে চলে আসছে।
আর এই ঝুঁকিপূর্ণ যাতায়াত থেকে পরিত্রাণ পেতে ব্রীজ তৈরীর দাবি তুললেন এলাকার মানুষ। সুন্দরবনের পিয়ালী নদী।সেই পিয়ালী নদী জয়নগর ও কুলতলি থানা এলাকার সীমানা দিয়ে বয়ে গেছে। পিয়ালী নদীর একতীরে রয়েছে কুলতলি থানার মেরীগঞ্জ ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের আমতলী গ্রাম। অপর তীরে রয়েছে জয়নগর থানার ঢোসা চন্দনেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোবিন্দপুর গ্রাম।এই খেয়া পারাপারের জন্য নদী বক্ষে রয়েছে দাঁড়হীন একটি নৌকা।
নদীর দুই তীর রয়েছে দড়ি বাঁধা। সেই দড়ি টেনে প্রতিদিনই চলে এই ঝুঁকির পারাপার।বর্ষাকালে বা একটু বৃষ্টি হলে পা পিছলে প্রায়শই এখানে দুর্ঘটনা ঘটে।স্কুল ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে প্রতিদিনই হাজারধিক মানুষ এই ভাবে যাতায়াত করেন এখানে।এমনকি প্রসুতি মায়েদের নিয়ে যাতায়াত করতে হয় এই ঝুঁকিপূর্ণ খেয়াতে।
দীর্ঘ ৭০ বছরের ও অধিক সময় ধরে এমন ভাবেই চলে আসছে বলে এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ।স্থানীয় মানুষজন বলেন, স্থানীয় পঞ্চায়েতদেরকে এই সমস্যার কথা একাধিকবার জানানো হয়েছে। কিন্তু কোন সুরাহা হয়নি। রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হয়েছে কিন্তু জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই খেয়া পারাপারের সমাধান আজও হয়নি।
আমরা চাই আমাদের গ্রামের মানুষদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য পিয়ালী নদীর উপর কংক্রীটের ব্রীজ তৈরি করা হোক।যাতে সাধারণ মানুষ উপকৃত হয়।
Read more: ওবিসি নিয়ে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে আলোচনা প্রোগ্রেসিভ ইনটেলেকচ্যুয়াল অব বেঙ্গলের
তবে এব্যাপারে বারুইপুর মহকুমা শাসক চিত্রদীপ সেন বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিলো না। ওখানকার ওই অবস্থার ব্যাপারে প্রশাসনিক ভাবে আমার কাছে কোনো তথ্য আসে নি। তবে আমি বিষয়টি দেখছি।