দু’একজন নেতাকর্মীকে জেলে আটকে রেখে বিজেপি ভাবছে পঞ্চায়েত দখল করবে, ওরা মূর্খের স্বর্গে বাস করছে: ফিরহাদ

- আপডেট : ৫ নভেম্বর ২০২২, শনিবার
- / 11
কৌশিক সালুই, বীরভূম: “দু একজন নেতাকর্মীকে জেলখানায় আটকে রেখে পঞ্চায়েত দখল করবে ভাবছে বিজেপি। তারা মূর্খের স্বর্গে বাস করছে”। শনিবার বীরভূমে এসে দলীয় বৈঠকের পর এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
কেষ্টহীন বীরভূমে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সাংগঠনিক ফাঁকফোকর মেরামত করতে আসরে তিনি। সিউড়িতে জেলার এক সাংসদ, নয় জন বিধায়ক, দলের শীর্ষস্থানীয় পদাধিকারীদের সঙ্গে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন।
পাশাপাশি সার্কিট হাউসে জেলাশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারসহ অন্যান্য শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে সমস্ত পৌরসভার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজকর্ম নিয়ে পর্যালোচনা করেন।
বিভিন্ন মামলায় বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল সিবিআই এর হাতে গ্রেফতার হয়ে জেল হেফাজতে রয়েছেন।
২০২৩ সালের শুরুতেই ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে সাংগঠনিক অবস্থা তৃণমূলের কেমন রয়েছে সে নিয়ে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে ফিরহাদ হাকিম।
এদিন দুদিন এর জেলা সফরে এসেছেন তিনি। দুপুরে রামপুরহাটে প্রশাসনিক বৈঠক ও দলীয় কর্মসূচি সেরে বিকেলে সিউড়িতে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা দলীয় কার্যালয়ে শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন।
উপস্থিত ছিলেন বোলপুর সাংসদ অসিত মাল, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, ডেপুটি স্পিকার আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়, লাভপুর বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ সহ অন্যান্য বিধায়কগণ পাশাপাশি জেলার সমস্ত পুরসভার পুর প্রধান, উপ- পুর প্রধান, দলের ব্লক সভাপতি বৈঠকে ছিলেন।
জেলার দলীয় শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে এরপর তিনি জেলাশাসক বিধান রায়, ডিআইজি বর্ধমান রেঞ্জ শ্যাম সিং সহ অন্যান্য শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে সার্কিট হাউসের জেলার অন্যায় করছে পৌরসভা গুলির বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজকর্ম ও প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করেন।
এদিন রাতে জেলার কয়েকজন শীর্ষ স্থানীয় নেতৃত্ব সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে পঞ্চায়েত ভোটের মূল দায়িত্ব কার হাতে থাকবে সেটা ঠিক করবেন তিনি।
রবিবার সকালে পাথরচাপুরিতে দাতাবাবা মেহবুব শাহের মাজার শরীফে যাবেন তিনি। তারপর তিনি ফের হেলিকপ্টারে করে মুর্শিদাবাদের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। দলীয় বৈঠক শেষে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘আমাদের দু একজন নেতাকর্মীকে জেলে আটকে রেখে বিজেপি ভাবছে পঞ্চায়েত দখল করবে। তাহলে তারা মূর্খের স্বর্গে বাস করছে। আমাদের কর্মীরা বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস সবাইকেই হারাবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে।
বীরভূম জেলায় সংগঠন আগের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী হয়েছে। কারণ অনুব্রত মণ্ডলকে অন্যায় ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার জন্য বর্তমান কর্মী সমর্থকরা আরো বেশি সমবেত হয়ে গিয়েছে। আমরা সন্ত্রাসে বিশ্বাস করি না। ত্রিপুরায় বিজেপি কেমন ভোট করেছে আমরা দেখেছি। বিজেপি তুমি একটা পিলপিলে কেঁচো হয়ে লাফাবে আর আমি সাপ হয়ে দেখব হতে পারেনা। বাংলা ভাগের চক্রান্ত আমরা সর্বতোভাবে চেষ্টা করব। পায়ের তলায় মাটি নেই তাই ওরা এইভাবে বাংলা ভাগের চক্রান্ত করে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে”।