পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ যেভাবে শাহরুখপুত্র আরিয়ানকে আটক ও পরে গ্রেফতার করা হয়, তা অনেককেই ভাবাচ্ছিল প্রথম দিন থেকেই। ‘ডাল মে কুচ কালা’ আছে বলে মনে করছিলেন অনেকেই। নোংরা রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছিলেন কেউ কেউ। এবার একটু একটু করে অনেকের কাছেই খোলসা হচ্ছে ছকটা ঠিক কি !
মাদক-কাণ্ডে শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খান-সহ বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতারের পিছনে কি বিজেপি যোগ রয়েছে? অভিযোগ, বিজেপি-র এক নেতা প্রমোদতরীতে মাদক পার্টির খবর দিয়েছিলেন এনসিবি (নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো বা মাদক নিয়ন্ত্রণ সংস্থা)-কে। আরিয়ানদের গ্রেফতার করার পরে তাঁদের যখন হেফাজতে নিয়ে যাচ্ছে এনসিবি, তখনও তাঁদের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল বিজেপি নেতা মণীশ ভানুশালীকে। এর পরেই মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক এই ঘটনায় বিজেপি যোগের অভিযোগ তোলেন। তার পরেই নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তার আবেদন করেছেন মণীশ।
সংবাদমাধ্যমকে মণীশ বলেন, ‘‘১ অক্টোবর আমি মাদক পার্টির খবর পাই। আমার এক বন্ধু আমাকে এনসিবি-র কাছে যেতে বলেন। আগে থেকেই এনসিবি-র কাছে খবর ছিল। ২ অক্টোবর প্রমোদতরীতে হানা দেওয়া হয়। সাক্ষী হিসেবে আমাদেরও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আমি জানতাম না প্রমোদতরীতে শাহরুখের ছেলেও আছেন।’
আরিয়ান, আরবাজ মার্চেন্টদের এনসিবি দফতরে নিয়ে যাওয়ার যে ভিডিয়ো প্রকাশ হয় সেখানেও দেখা যায় মণীশকে। তার পরেই প্রশ্ন ওঠে কেন্দ্রীয় মাদক সংস্থার আধিকারিকদের সঙ্গে এক জন বিজেপি নেতা কী করছেন? তিনি কি এই ভাবে তদন্তের সময় থাকতে পারেন? তারও জবাব দিয়েছেন মণীশ। তিনি বলেন, ‘‘হ্যাঁ, আমি এনসিবি আধিকারিকদের সঙ্গে ছিলাম।’’
পর্দা ক্রমশ ফাঁস হওয়ায় চাপে পড়েছেন মণীশ। তিনি বলেন, ‘‘আমি এক জন বিজেপি কর্মী। আমি যা করেছি তা দেশের জন্য। এই ঘটনা নিয়ে বিজেপি-র কোনও নেতার সঙ্গে আমি কথা বলিনি। তবে যে ভাবে নোংরা রাজনীতি করা হচ্ছে তাতে আমি আতঙ্কিত। তাই আমার ও পরিবারের নিরাপত্তার জন্য মুম্বই পুলিশের কাছে আবেদন করেছি।’’