চণ্ডীগড়, ২২ নভেম্বরঃ এক মাস মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে। রাজ্যপাল বন্দারু দত্তাত্রেয়র কাছে শপথ বাক্য পাঠ করে রাজ্যের নয়া মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন নয়াব সিং সাইনি। সাইনির নেতৃত্বে মন্ত্রিসভা কাজও করছে। ‘বিজেপি তখত দখলে ইভিএমে কারচুপি করেছে’, হঠাৎই এমন গুরুতর অভিযোগ নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন হরিয়ানা কংগ্রেসের ‘পঞ্চপাণ্ডব’।
আবেদনকারীর তালিকায় রয়েছেন স্বয়ং রাজ্য সভাপতি উদয় ভান, প্রাক্তন মন্ত্রী করণ দালালের মতো প্রতিষ্ঠিত কংগ্রেস নেতা। কংগ্রেস নেতৃত্ব হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ায় হরিয়ানার রাজনৈতিক ময়দানে হুলুস্থূল পড়ে গিয়েছে।
উদয় ভান হাইকোর্টে তাঁর আবেদনে লিখেছেন, এই নির্বাচনে ধর্মীয় মেরুকরণের চেষ্টা করা হয়েছে। অর্থাৎ ভোটারদের প্রলোভনে ফেলতে ধর্মকে ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়াও আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিকে তুলে ধরা হয়েছে আবেদনে। গণনার সময় দেখা যায় ইভিএমে ব্যাটারিতে চার্জ রয়েছে ৯৯ শতাংশ। এটা কি করে সম্ভব? ভোটের হার বৃদ্ধিও উদ্বেগের কারণ।
এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী নয়াব সিং সাইনি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছিলেন, জেতার সব ব্যবস্থাই করা হয়েছে। এইসব ঘটনা প্রমাণ করে ভোট গণনায় কারচুপি হয়েছে।
কংগ্রেস নেতাদের অভিযোগ, ভোট গণনার সময় বিজেপি ক্ষমতার অপব্যবহার করে জনমতকে বিকৃত করেছে। উদয় ভান অভিযোগে বলেছেন, দীপক বাবরিয়া ১৪টি আসনে ইভিএম কারচুপির খবর পেয়েছিলেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই আসনগুলি নিয়ে তাঁর উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। যে আসনগুলিতে ইভিএম-এ গড়বড় করার অভিযোগ এসেছিল সেগুলি কালকা, ঘরাউন্ডা, আসান্ধ, রাই, খারখোন্ডা, সফিডন, উচানা কালান, মহেন্দ্রগড়, দাদরি, বাদখাল, গোহানা এবং নারওয়ানা।
রাজ্য সভাপতি উদয় ভান বলেন, আমি ছাড়াও বিজয় প্রতাপ সিং, করণ দালাল, লখন কুমার সিংলাও হাইকোর্টে আবেদন করেছেন। তাঁরা বিভিন্ন কারণে নির্বাচনী ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করেছে।