১৫ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজস্থান বিধানসভায় ধর্মান্তর বিরোধী বিল পেশ বিজেপি সরকারের

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, সোমবার
  • / 160

জয়পুর, ৩ ফেব্রুয়ারি: রাজস্থান সরকার জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণের বিষয়ে অত্যন্ত কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে। সোমবার রাজস্থান বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে, ভজনলাল শর্মার সরকার ধর্মান্তরকরণ সংক্রান্ত বহুল আলোচিত এই বিলটি পেশ করেছে। ২০২৩ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরে এবং ভজনলাল শর্মা মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরেই শাসক দলে দাবি উঠতে শুরু করে যে ধর্মান্তর বিরোধী আইন প্রয়োগ করা উচিত। জোর করে ধর্মান্তর করা হলে কড়া শাস্তির কথা উল্লেখ রয়েছে এই বিলে। সেক্ষেত্রে ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের কথা বলা হয়েছে।

READ MORE: নদীতে ফেলা হয়েছে পদপিষ্টদের মৃতদেহ , বিস্ফোরক জয়া বচ্চন

আরও পড়ুন: ক্ষতিপূরণ দিতে হবে ভুটানকেই: বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রকে বিধলেন মমতা

 

আরও পড়ুন: মার্কিন ভিসা ফি বৃদ্ধি, মোদি নীরব কেন: রাহুল

উল্লেখ্য যে, ১৬ বছর আগে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজের শাসনামলে, এই বিল দুবার পাশ হয়েছিল (২০০৬ এবং ২০০৭)। কিন্তু সে সময় ধর্মান্তর বিরোধী বিলটি কেন্দ্রীয় সরকারের আপত্তির কারণে আটকে যায় এবং তা কার্যকর করা যায়নি। নতুন বিলে জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণ ঠেকাতে আগের চেয়ে কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে বলে জানা যায়। এছাড়াও তৎকালীন বিদ্যমান বিলে অন্তর্ভুক্ত বিধানগুলোও নতুন বিলে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: Indian National in Russian Army: রুশ সেনায় যোগ দেবেন না, ভারতীয়দের সতর্ক করল কেন্দ্রীয় সরকার

রাজস্থানের সংসদীয় বিষয়ক ও আইনমন্ত্রী জোগারাম প্যাটেল বলেছেন যে,” রাজস্থানের জন্য একটি ধর্মান্তর বিরোধী বিলের খুব প্রয়োজন। প্রলোভন দেখিয়ে বা কোনও প্রতারণামূলক উপায়ে বা কোনও বিবাহের মাধ্যমে এক ধর্ম থেকে অন্য ধর্মে পরিবর্তন করা আটকাতেই এই বিল আনা হয়েছে।”

এই বিলটি ছাড়াও রাজস্থানের ভজনলাল শর্মা সরকার লিভ-ইন সম্পর্কে বসবাসকারী যুগলদের বিরুদ্ধে একটি নতুন আইনি বিধান যুক্ত করতে পারে। রাজস্থানেও লিভ-ইন সম্পর্কের জন্য তাদেরকে নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক করা হতে পারে।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

রাজস্থান বিধানসভায় ধর্মান্তর বিরোধী বিল পেশ বিজেপি সরকারের

আপডেট : ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, সোমবার

জয়পুর, ৩ ফেব্রুয়ারি: রাজস্থান সরকার জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণের বিষয়ে অত্যন্ত কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে। সোমবার রাজস্থান বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে, ভজনলাল শর্মার সরকার ধর্মান্তরকরণ সংক্রান্ত বহুল আলোচিত এই বিলটি পেশ করেছে। ২০২৩ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরে এবং ভজনলাল শর্মা মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরেই শাসক দলে দাবি উঠতে শুরু করে যে ধর্মান্তর বিরোধী আইন প্রয়োগ করা উচিত। জোর করে ধর্মান্তর করা হলে কড়া শাস্তির কথা উল্লেখ রয়েছে এই বিলে। সেক্ষেত্রে ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের কথা বলা হয়েছে।

READ MORE: নদীতে ফেলা হয়েছে পদপিষ্টদের মৃতদেহ , বিস্ফোরক জয়া বচ্চন

আরও পড়ুন: ক্ষতিপূরণ দিতে হবে ভুটানকেই: বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রকে বিধলেন মমতা

 

আরও পড়ুন: মার্কিন ভিসা ফি বৃদ্ধি, মোদি নীরব কেন: রাহুল

উল্লেখ্য যে, ১৬ বছর আগে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজের শাসনামলে, এই বিল দুবার পাশ হয়েছিল (২০০৬ এবং ২০০৭)। কিন্তু সে সময় ধর্মান্তর বিরোধী বিলটি কেন্দ্রীয় সরকারের আপত্তির কারণে আটকে যায় এবং তা কার্যকর করা যায়নি। নতুন বিলে জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণ ঠেকাতে আগের চেয়ে কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে বলে জানা যায়। এছাড়াও তৎকালীন বিদ্যমান বিলে অন্তর্ভুক্ত বিধানগুলোও নতুন বিলে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: Indian National in Russian Army: রুশ সেনায় যোগ দেবেন না, ভারতীয়দের সতর্ক করল কেন্দ্রীয় সরকার

রাজস্থানের সংসদীয় বিষয়ক ও আইনমন্ত্রী জোগারাম প্যাটেল বলেছেন যে,” রাজস্থানের জন্য একটি ধর্মান্তর বিরোধী বিলের খুব প্রয়োজন। প্রলোভন দেখিয়ে বা কোনও প্রতারণামূলক উপায়ে বা কোনও বিবাহের মাধ্যমে এক ধর্ম থেকে অন্য ধর্মে পরিবর্তন করা আটকাতেই এই বিল আনা হয়েছে।”

এই বিলটি ছাড়াও রাজস্থানের ভজনলাল শর্মা সরকার লিভ-ইন সম্পর্কে বসবাসকারী যুগলদের বিরুদ্ধে একটি নতুন আইনি বিধান যুক্ত করতে পারে। রাজস্থানেও লিভ-ইন সম্পর্কের জন্য তাদেরকে নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক করা হতে পারে।