পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : লড়াইয়ে এ যাবৎ তৃণমূলের কাছে বিজেপি হারছে। বিধানসভার ভোট প্রচারে প্রায় ‘ডেইলি প্যাসেঞ্জারি’ করেও বিজেপিকে তেমন একটা জায়গা করে দিতে পারেননি শাহ-মোদী। তবে তারা প্রধান বিরোধী শক্তি হিসাবে উঠে এসেছে। ভোটের পর থেকে বিজেপি ছাড়ার হুজুগ ছড়িয়েছে। যারা পদ্মবনে গিয়েছিলেন, তাঁরা গুটিগুটি পায়ে ফিরছেন ঘাসফুলে। তাদের অনেকেরই অভিযোগ বিজেপি বাঙালিদের তেমন একটা পছন্দ করে না।বাংলার উন্নয়নে তাদের তেমন উৎসাহ নেই। প্রতিদিন বিজেপির অন্দরের কোন্দল মিডিয়ায় জায়গা পাচ্ছে।দু এমন অবস্থায় বিজেপিকে চাঙ্গা করতে রাজ্যের সব ওয়ার্ডে শাখা খুলতে চাইছে আরএসএস। সোমবার কলকাতায় আসছেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত।
দু’দিনের এই সফরে সরসঞ্চালকের সঙ্গী যুগ্ম সরকার্যবহ অরুণ কুমার। সর্বভারতীয় স্তরে যিনি সংঘ ও বিজেপির মধ্যে সমন্বয়ের দায়িত্বে। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের দক্ষিণবঙ্গের প্রান্ত কার্যবহ জিষ্ণু বসু জানিয়েছেন, আগামী সোমবার, রাতে কলকাতায় আসছেন সংঘপ্রধান। ১৬ ও ১৭ তারিখ একাধিক সাংগঠনিক বৈঠক আছে তাঁর। তিনি কলকাতা ছাড়বেন বৃহস্পতিবার। জিষ্ণুবাবুর কথায়, সরসংঘচালকের এবারের সফর পুরোটাই সাংগঠনিক।রাজ্য বিজেপির সূত্র মোতাবেক, অরুণ কুমারের সঙ্গে নতুন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সংগঠন সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তীদের মতো শীর্ষ নেতাদের বৈঠক হবে এই সফরে।
সফরের প্রথম দিন মঙ্গলবার বিকেলে ওয়েবিনারের মাধ্যমে রাজ্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্টজনদের সঙ্গে মিলিত হবেন সংঘপ্রধান। বুধবার সকাল থেকে বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্তদের সঙ্গে বৈঠক হবে তাঁর।
সরসংঘচালকের আলোচ্যসূচিতে এবার জোর দেওয়া হচ্ছে মূলত তিনটি বিষয়ের উপর। ২০২৪-এর মধ্যে রাজ্যের প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত ও শহরাঞ্চলের প্রতি ওয়ার্ডে শাখা খোলা, বাংলার শিল্প মূলত পাটশিল্পের উন্নয়ন ও প্রসার এবং দুর্গাপুজোয় বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন। সরসংঘচালকের সফরসূচি ‘রাজনীতিহীন’ হলেও নজর কেড়েছে তাঁর সফরসঙ্গী হিসাবে অরুণ কুমারের নাম থাকা।
গত জুলাই মাসে মধ্যপ্রদেশের চিত্রকূটে সংঘের অখিল ভারতীয় প্রান্ত প্রচারক বৈঠকে প্রবীণ প্রচারক কৃষ্ণগোপালের জায়গায় সংঘ ও বিজেপির সমন্বয়ের গুরুদায়িত্বে আনা হয় যুগ্ম সরকার্যবহ অরুণ কুমারকে। এই উত্থানের পিছনে কাজ করেছে সংঘের প্রচার প্রমুখ হিসাবে জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপে তাঁর ভূমিকা।
শিষ্য বেকায়দায় পড়লে পরিত্রাণে নামেন গুরু। এক্ষেত্রেও তেমনটাই হচ্ছে। আরএসএস পাঁক বানাতে না পারলে সেখানে পদ্ম ফোটে না। একথা মোটামুটি সকলেরই জানা। আরএসএস যে ভোকাল টনিকে কর্মী সমর্থকদের উৎসাহিত করে সেখানে সম্প্রীতির পরিসর নেই বললেই চলে। যেটুকু আছে সেটা ওই ‘সবকা বিকাশ’ টাইপ স্লোগান।