৩০ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বেনজির ঘটনা! এক বছরে ২০০ বিলিয়ন ডলার খুইয়েছেন ইলন মাস্ক

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২২, শনিবার
  • / 11

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: এক বছরে ২০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি হারিয়েছেন ইলন মাস্ক। ইলন মাস্ক হলেন প্রথম ব্যক্তি যার ধনসম্পত্তির পরিমাণ ৩৪০ ডলারে পৌঁছেছে ২০২১ সালের ৪ নভেম্বর। তিনি এই মাসের শুরুর দিকে ফরাসি ফ্যাশন এবং প্রসাধনী ম্যাগনেট বার্নার্ড আর্নল্টের কাছে শিরোপা হারান। ব্লুমবার্গের রিপোর্ট অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের গাড়িনির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক ইতিহাসে একমাত্র ব্যক্তি হয়েছিলেন যিনি তার মোট সম্পদ থেকে ২০০ বিলিয়ন হারিয়েছেন।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫১ বছর বয়সী মাস্কের মোট সম্পদের প্রায় ৭০ শতাংশ কমেছে, যা গত বছরের ৪ নভেম্বর ৩৪০.৩ বিলিয়ন ডলার থেকে শুক্রবার ১৪৭ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।

চলতি মাসেই ইলন মাস্ককে সরিয়ে বিশ্বের শীর্ষ ধনীর স্থান দখল করে নিয়েছেন ফ্রান্সের বিলাসবহুল পোশাক ও দ্রব্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান লুই ভুইতোঁ মালিক বার্নার্ড আর্নল্ট ও তার পরিবার। ১৮০ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ নিয়ে তালিকার শীর্ষে আছে তার নাম।

ব্লুমবার্গ মাস্কের হিসাব উদ্ধৃত করে ব্যাখ্যা করেছে, প্রধানত টেসলা স্টকের দামের তীব্র হ্রাসের কারণে মাস্ক এই লোকসানের মুখে পড়েছেন। শুধু এই মাসেই মাস্কের সম্পদ ৫০ বিলিয়ন ডলার কমেছে।

ব্লুমবার্গ আরও জানিয়েছে, ট্যুইটার কেনার জন্য মাস্কের হঠকারী পরিকল্পনা এবং টেসলার স্টক বিক্রি করার সিদ্ধান্তের জন্য বিনিয়োগ বন্ধ করে দিচ্ছে বিনিয়োগকারীরা। যারা বিশ্বাস করে যে তিনি দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে কাজ করছেন এবং অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করছেন।

ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স অনুসারে, চলতি বছর টেসলার শেয়ারের দাম ৬৫ শতাংশ কমেছে।  এছাড়াও ট্যুইটার কেনার জন্য এই বছর এত বেশি শেয়ার বিক্রি করেছেন যে টেসলার শেয়ার আর তার সবচেয়ে বড় সম্পদ নয়। বর্তমানে টেসলাতে মাস্কের আনুমানিক ৪৪ বিলিয়ন ডলারের শেয়ার অবশিষ্ট রয়েছে।

সমালোচকদের কথায়, মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ট্যুইটারের মালিক হওয়ার পর থেকেই আর্থিক লোকসানের মুখে পড়েন মাস্ক। দেখা যায় তাঁর সংস্থা টেসলার শেয়ার পড়ে যায় অনেকটা। বিপুল ঋণের বোঝা মাথায় নিয়েই ট্যুইটার কিনেছিলেন মাস্ক। তারপর থেকেই মাস্কের নিজের সংস্থা টেসলার লাভের অঙ্ক কমতে থাকে।

বর্তমানে মাস্কের সবচেয়ে বড় অংশীদারিত্ব রয়েছে মহাকাশযান প্রস্তুতকারক, স্পেস এক্সপ্লোরেশন টেকনোলজিস কর্পোরেশনে।
একটি সাম্প্রতিক ফাইলিং অনুসারে মাস্ক এখন স্পেসএক্সের ৪২.২ শতাংশ এর মালিক, যার মূল্য ৪৪.৪ বিলিয়ন ডলার। এছাড়াও তার কাছে এখনও আনুমানিক ২৭ বিলিয়ন ডলার মূল্যের বিকল্প রয়েছে।

ব্লুমবার্গের বিলিনিয়র ইনডেক্সে বলছে, মাস্কের সম্পত্তির মূল্য ছিল ৩৩৮ বিলিয়ন ডলার। বছর শেষে তা এসে দাঁড়িয়েছে ১৩২ বিলিয়ন ডলার।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বেনজির ঘটনা! এক বছরে ২০০ বিলিয়ন ডলার খুইয়েছেন ইলন মাস্ক

আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২২, শনিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: এক বছরে ২০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি হারিয়েছেন ইলন মাস্ক। ইলন মাস্ক হলেন প্রথম ব্যক্তি যার ধনসম্পত্তির পরিমাণ ৩৪০ ডলারে পৌঁছেছে ২০২১ সালের ৪ নভেম্বর। তিনি এই মাসের শুরুর দিকে ফরাসি ফ্যাশন এবং প্রসাধনী ম্যাগনেট বার্নার্ড আর্নল্টের কাছে শিরোপা হারান। ব্লুমবার্গের রিপোর্ট অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের গাড়িনির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক ইতিহাসে একমাত্র ব্যক্তি হয়েছিলেন যিনি তার মোট সম্পদ থেকে ২০০ বিলিয়ন হারিয়েছেন।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫১ বছর বয়সী মাস্কের মোট সম্পদের প্রায় ৭০ শতাংশ কমেছে, যা গত বছরের ৪ নভেম্বর ৩৪০.৩ বিলিয়ন ডলার থেকে শুক্রবার ১৪৭ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।

চলতি মাসেই ইলন মাস্ককে সরিয়ে বিশ্বের শীর্ষ ধনীর স্থান দখল করে নিয়েছেন ফ্রান্সের বিলাসবহুল পোশাক ও দ্রব্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান লুই ভুইতোঁ মালিক বার্নার্ড আর্নল্ট ও তার পরিবার। ১৮০ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ নিয়ে তালিকার শীর্ষে আছে তার নাম।

ব্লুমবার্গ মাস্কের হিসাব উদ্ধৃত করে ব্যাখ্যা করেছে, প্রধানত টেসলা স্টকের দামের তীব্র হ্রাসের কারণে মাস্ক এই লোকসানের মুখে পড়েছেন। শুধু এই মাসেই মাস্কের সম্পদ ৫০ বিলিয়ন ডলার কমেছে।

ব্লুমবার্গ আরও জানিয়েছে, ট্যুইটার কেনার জন্য মাস্কের হঠকারী পরিকল্পনা এবং টেসলার স্টক বিক্রি করার সিদ্ধান্তের জন্য বিনিয়োগ বন্ধ করে দিচ্ছে বিনিয়োগকারীরা। যারা বিশ্বাস করে যে তিনি দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে কাজ করছেন এবং অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করছেন।

ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স অনুসারে, চলতি বছর টেসলার শেয়ারের দাম ৬৫ শতাংশ কমেছে।  এছাড়াও ট্যুইটার কেনার জন্য এই বছর এত বেশি শেয়ার বিক্রি করেছেন যে টেসলার শেয়ার আর তার সবচেয়ে বড় সম্পদ নয়। বর্তমানে টেসলাতে মাস্কের আনুমানিক ৪৪ বিলিয়ন ডলারের শেয়ার অবশিষ্ট রয়েছে।

সমালোচকদের কথায়, মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ট্যুইটারের মালিক হওয়ার পর থেকেই আর্থিক লোকসানের মুখে পড়েন মাস্ক। দেখা যায় তাঁর সংস্থা টেসলার শেয়ার পড়ে যায় অনেকটা। বিপুল ঋণের বোঝা মাথায় নিয়েই ট্যুইটার কিনেছিলেন মাস্ক। তারপর থেকেই মাস্কের নিজের সংস্থা টেসলার লাভের অঙ্ক কমতে থাকে।

বর্তমানে মাস্কের সবচেয়ে বড় অংশীদারিত্ব রয়েছে মহাকাশযান প্রস্তুতকারক, স্পেস এক্সপ্লোরেশন টেকনোলজিস কর্পোরেশনে।
একটি সাম্প্রতিক ফাইলিং অনুসারে মাস্ক এখন স্পেসএক্সের ৪২.২ শতাংশ এর মালিক, যার মূল্য ৪৪.৪ বিলিয়ন ডলার। এছাড়াও তার কাছে এখনও আনুমানিক ২৭ বিলিয়ন ডলার মূল্যের বিকল্প রয়েছে।

ব্লুমবার্গের বিলিনিয়র ইনডেক্সে বলছে, মাস্কের সম্পত্তির মূল্য ছিল ৩৩৮ বিলিয়ন ডলার। বছর শেষে তা এসে দাঁড়িয়েছে ১৩২ বিলিয়ন ডলার।