রফিকুল হাসান, বারাসাত: উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বারাসাত দুই ব্লকের কেমিয়া খামারপাড়া অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে বাংলা বর্ষবরণ উৎসব পালন করা হয়। রবিবার খামারপাড়া বাজারে সান্ধ্যকালীন উৎসবে মানুষজনের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ, মধ্যমগ্রাম পৌরসভার পৌরপ্রধান নিমাই ঘোষ, বারাসাত দুই ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শম্ভুনাথ ঘোষ, উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ একেএম ফারহাদ, জেলা পরিষদের সদস্য মমতা সরকার, বারাসাত দুই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মনোয়ারা বিবি, প্রাক্তন সভাপতি ইফতিকারউদ্দিন, কেমিয়া খামারপাড়া অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি মানস ঘোষ, কেমিয়া খামারপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান স্মৃতিকণা অধিকারী, উপপ্রধান মোজাফফার রহমান প্রমুখ। এদিন বিভিন্ন শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
এদিন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেন, আমাদের দলের একটা নির্দেশ ছিল বাংলা নববর্ষ উৎসব পালনের। খামারপাড়ায় সেটা পালন করা হল। এর মাধ্যমে আমাদের বারাসাত লোকসভার তৃণমূলের প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে জয়ী করার জন্য জনসংযোগও সারা হচ্ছে। ভোটবাক্সেও এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রভাব পড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। বারাসাত দুই ব্লক তৃণমূলের সভাপতি শম্ভু ঘোষ নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, বাংলা সম্প্রীতির জায়গা। এখানে সাংস্কৃতিক নানা অনুষ্ঠান হয়। আজ আমাদের দলের উদ্যোগে বর্ষবরণ উৎসব পালন করা হল। জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ একেএম ফারহাদ বলেন, আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন ধর্ম যার যার উৎসব সবার। বাংলায় মসজিদে যেমন আযান হয় তেমনি মন্দিরে ঘন্টা বাজে। এটাই আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্প্রীতির বাংলা।
বারাসাত দুই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মনোয়ারা বিবি বলেন, বাংলা নববর্ষ উৎসব পালন করা হল। বাঙালির কৃষ্টি কালচার আমরা ঘটা করে পালন করার চেষ্টা করছি। প্রাক্তন সভাপতি ইফতিকারউদ্দিন বলেন, আমাদের বারাসাত দুই ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় সাংস্কৃতিক কৃষ্টি কালচার আছে। নানা ধরনের অনুষ্ঠান আমরা করে থাকি। ভোট ঘোষণা হয়ে গেছে তার মাঝেও আমরা এরকম একটা অনুষ্ঠান উপহার দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
কেমিয়া খামারপাড়া অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি মানস ঘোষ বলেন, নির্বাচন ঘোষনা হয়ে গেছে। এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আমরা জনসংযোগ করার চেষ্টা করছি। আমাদের বারাসাত লোকসভার প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে খামারপাড়া অঞ্চলের মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য রেডি আছে। কাকলিদেবীকে প্রচুর ভোট এই অঞ্চল থেকে লিড দেওয়া হবে বলে মানস ঘোষ আশা প্রকাশ করেন। কেমিয়া খামারপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মোজাফফর রহমান বলেন, এই ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আমরা আমাদের অঞ্চলে করে থাকি। বাংলা নববর্ষ উৎসব উদযাপন নতুন করে সংযোগ হলো।