৩০ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘উন্নয়নের জন্য একদিন বাংলাকে সালাম জানাতে হবে’, মালদার গাজোল থেকে কেন্দ্রকে নিশানা মমতার

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৩১ জানুয়ারী ২০২৩, মঙ্গলবার
  • / 15

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  মালদার গাজোলে সরকারি পরিষেবা প্রদান  অনুষ্ঠান থেকে ফের কেন্দ্র সরকারকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের সভা থেকে ফের কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যের টাকা তুলে নিয়ে যায় কেন্দ্র।

প্রকল্পের টাকা দেয় না, অথচ কেন্দ্রীয় টিম পাঠাচ্ছে। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে অশ্বডিম্ব করছে। রাজ্যে থেকে করের টাকা তুলে নিয়ে যায় কেন্দ্র। জনকল্যাণমূলক প্রকল্পে কাজ করছে না কেন্দ্র সরকার। উন্নাও, গুজরাত, উত্তরপ্রদেশে কটা টিম পাঠায়? মাথায় উকুন হলে, বাড়িতে ছারপোকা হলে মেরে ফেলতে হবে। পয়সা দেওয়ার ক্ষমতা নেই, কিল মারার গোঁসাই। কেন্দ্রের কাজ খালি কুৎসা করা। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের জন্য একদিন বাংলাকে সালাম জানাতে হবে। যারা মিথ্যা রটানো করছে, তারা এসে দেখে যাক। কেড়ে নেবে সব আমাদের, দেবে না কিছুই।

এনআরসি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আপনাদের এনআরসি নিয়ে ভুল বোঝানো হচ্ছে। আপনারা নাগরিক বলেই তো আপনারা ভোট দেন।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২০২৪ সালের মধ্য সব ঘরে পানীয় জল পৌঁছবে। রাজ্যের এখন যা কাজ আছে আর বাইরে গিয়ে কাজ করার প্রয়োজন নেই।   ১০ হাজার জব হোল্ডারদের কাজ করে দেওয়া হয়েছে। উত্তর-দক্ষিণ দিনাজপুরে বহু কাজ হয়েছে। মালদা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদে ট্যুরিজম সাইড তৈরি করা হচ্ছে। বালুরঘাটে নতুন করে বিমান বন্দর বানানো হচ্ছে। অনেকগুলি সেতু সংযোগকারী রাস্তা তৈরি হচ্ছে। মালদায় পাড়ায় ১২৩টি প্রকল্পের কাজ চলছে।

মুখ্যমন্ত্রী এদিন কেন্দ্র সংখ্যালঘু বৃত্তি বন্ধ করে দেওয়া নিয়ে সোচ্চার হয়ে বলেন, আমরা ১ কোটি ২০ লক্ষ ঐক্যশ্রী দিয়েছি। শিক্ষাশ্রী দিচ্ছি তফশিলিদের জন্য। ওবিসিদের বৃত্তি বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র, আমরা মেধাশ্রী দিচ্ছি।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের টাকা নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। মিডিয়াকেও অপব্যবহার করা হচ্ছে। মাছের তেলে মাছ ভাজার চেষ্টা করছে। ইন্দো-বাংলাদেশ চুক্তির পরে আমরা ৭০০ কোটি টাকা পাই। কিন্তু আমাদের সেই টাকা দেওয়া হয়নি।

এদিন মমতা বলেন, খালি রাজ্যের নামে কুৎসা রটানোর চেষ্টা। আমরা যদি চোর হই, তাহলে তোমরা ডাকাত। যত খুশি গালি দাও, টাকা দিলে গাল পেতে দেব।

মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, আমার দল থেকে কয়েকটা ডাকাত, গদ্দার বিদায় নিয়েছে। পুরুলিয়ার ছেলে-মেয়েরা বঞ্চিত হয়েছে। আমি নিজে কোটা বাড়িয়ে কাজের ব্যবস্থা করেছি। রাজ্যে ৪০ শতাংশ বেকারের সংখ্যা কমেছে। ডেউচা পাচামির কাজ প্রায় সম্পূর্ণ। এই কাজ হয়ে গেলে প্রায় ১ লক্ষ মানুষের কাজের সংস্থান হবে।

ভোট এলেই কেউ মতুয়ার লোক হয়ে যায়। বড়মা যখন অসুস্থ ছিলেন সব কাজ আমিই করেছি। সাংবাদিকদের উদ্দেশে মমতা বলেন, আপনারা ভালো কাজ তুলে ধরুন। মানুষকে সাহায্য করুন।

এদিনের পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান থেকে মিজোরামের তিনটি পরিবারের হাতে ২ লক্ষ টাকা করে তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

‘উন্নয়নের জন্য একদিন বাংলাকে সালাম জানাতে হবে’, মালদার গাজোল থেকে কেন্দ্রকে নিশানা মমতার

আপডেট : ৩১ জানুয়ারী ২০২৩, মঙ্গলবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  মালদার গাজোলে সরকারি পরিষেবা প্রদান  অনুষ্ঠান থেকে ফের কেন্দ্র সরকারকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের সভা থেকে ফের কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যের টাকা তুলে নিয়ে যায় কেন্দ্র।

প্রকল্পের টাকা দেয় না, অথচ কেন্দ্রীয় টিম পাঠাচ্ছে। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে অশ্বডিম্ব করছে। রাজ্যে থেকে করের টাকা তুলে নিয়ে যায় কেন্দ্র। জনকল্যাণমূলক প্রকল্পে কাজ করছে না কেন্দ্র সরকার। উন্নাও, গুজরাত, উত্তরপ্রদেশে কটা টিম পাঠায়? মাথায় উকুন হলে, বাড়িতে ছারপোকা হলে মেরে ফেলতে হবে। পয়সা দেওয়ার ক্ষমতা নেই, কিল মারার গোঁসাই। কেন্দ্রের কাজ খালি কুৎসা করা। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের জন্য একদিন বাংলাকে সালাম জানাতে হবে। যারা মিথ্যা রটানো করছে, তারা এসে দেখে যাক। কেড়ে নেবে সব আমাদের, দেবে না কিছুই।

এনআরসি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আপনাদের এনআরসি নিয়ে ভুল বোঝানো হচ্ছে। আপনারা নাগরিক বলেই তো আপনারা ভোট দেন।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২০২৪ সালের মধ্য সব ঘরে পানীয় জল পৌঁছবে। রাজ্যের এখন যা কাজ আছে আর বাইরে গিয়ে কাজ করার প্রয়োজন নেই।   ১০ হাজার জব হোল্ডারদের কাজ করে দেওয়া হয়েছে। উত্তর-দক্ষিণ দিনাজপুরে বহু কাজ হয়েছে। মালদা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদে ট্যুরিজম সাইড তৈরি করা হচ্ছে। বালুরঘাটে নতুন করে বিমান বন্দর বানানো হচ্ছে। অনেকগুলি সেতু সংযোগকারী রাস্তা তৈরি হচ্ছে। মালদায় পাড়ায় ১২৩টি প্রকল্পের কাজ চলছে।

মুখ্যমন্ত্রী এদিন কেন্দ্র সংখ্যালঘু বৃত্তি বন্ধ করে দেওয়া নিয়ে সোচ্চার হয়ে বলেন, আমরা ১ কোটি ২০ লক্ষ ঐক্যশ্রী দিয়েছি। শিক্ষাশ্রী দিচ্ছি তফশিলিদের জন্য। ওবিসিদের বৃত্তি বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র, আমরা মেধাশ্রী দিচ্ছি।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের টাকা নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। মিডিয়াকেও অপব্যবহার করা হচ্ছে। মাছের তেলে মাছ ভাজার চেষ্টা করছে। ইন্দো-বাংলাদেশ চুক্তির পরে আমরা ৭০০ কোটি টাকা পাই। কিন্তু আমাদের সেই টাকা দেওয়া হয়নি।

এদিন মমতা বলেন, খালি রাজ্যের নামে কুৎসা রটানোর চেষ্টা। আমরা যদি চোর হই, তাহলে তোমরা ডাকাত। যত খুশি গালি দাও, টাকা দিলে গাল পেতে দেব।

মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, আমার দল থেকে কয়েকটা ডাকাত, গদ্দার বিদায় নিয়েছে। পুরুলিয়ার ছেলে-মেয়েরা বঞ্চিত হয়েছে। আমি নিজে কোটা বাড়িয়ে কাজের ব্যবস্থা করেছি। রাজ্যে ৪০ শতাংশ বেকারের সংখ্যা কমেছে। ডেউচা পাচামির কাজ প্রায় সম্পূর্ণ। এই কাজ হয়ে গেলে প্রায় ১ লক্ষ মানুষের কাজের সংস্থান হবে।

ভোট এলেই কেউ মতুয়ার লোক হয়ে যায়। বড়মা যখন অসুস্থ ছিলেন সব কাজ আমিই করেছি। সাংবাদিকদের উদ্দেশে মমতা বলেন, আপনারা ভালো কাজ তুলে ধরুন। মানুষকে সাহায্য করুন।

এদিনের পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান থেকে মিজোরামের তিনটি পরিবারের হাতে ২ লক্ষ টাকা করে তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।