পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ সংবিধানপ্রণেতা বাবাসাহেব আম্বেদকরকে অপমান আর তার ছেড়ে সোমবার রাজ্যজুড়ে পালিত হল বিক্ষোভ কর্মসূচি। রাস্তায় নেমে তৃণমূল কর্মীরা বিক্ষোভে শামিল হন এবং অবিলম্বে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান। উত্তরবঙ্গের কোচবিহার থেকে দক্ষিণবঙ্গের কাকদ্বীপ। টালা থেকে টালিগঞ্জ। আবার হাওড়া থেকে দীঘা মেদিনীপুর পুরুলিয়া বাঁকুড়া সব জায়গাতে বাবাসাহেব আম্বেদকরের জন্য পথে নামেন সাধারণ মানুষ। সংবিধান প্রণেতা বাবাসাহেব আম্বেদকরের অপমানের প্রতিবাদে গর্জে উঠল বাংলা। কয়েকদিন আগেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে দলের সর্বস্তরের নেতা, মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদ এবং দলের সর্বস্তরের কর্মী-সমর্থকরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদের ঝড় তুলে দিলেন। সংবিধান রচয়িতা বাবাসাহেব আম্বেদকরকে যে কুরুচিকরভাবে অপমান করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই প্রতিবাদ। এর বিরুদ্ধে নেত্রী গর্জে উঠে বলেছিলেন, বাবাসাহেবের এই অপমান মানব না। তাঁকে অপমান করা মানে দেশের অপমান, সংবিধানের অপমান, দেশবাসীর অপমান। এর বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই গর্জে উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে লোকসভা ও রাজ্যসভায় একের প্রতিবাদের ঝড় আছড়ে পড়েছে। সংসদের ভিতরে ও বাইরে তৃণমূল সাংসরা প্রতিবাদের সরব ছিলেন। সোমবার দুপুরে কলকাতায় বি আর আম্বেদকরের মূর্তিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানান দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। ছিলেন সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার-সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। চেতলায় ৮২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রতিবাদ মিছিলে নেতৃত্ব দেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। টালিগঞ্জ বিধানসভার বাঁশoোণীতে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের নেতৃত্বে প্রতিবাদ মিছিলে শামিল হন সকলে।
ফিরহাদ হাকিম হাকিম আম্বেদকরের মূর্তিতে মাল্যদান করার পর তাঁর জীবন ও আদর্শ নিয়ে বক্তব্য রাখেন।
মিছিল করেন মন্ত্রী শশী পাঁজাও। এ ছাড়াও সাংসদ মালা রায় মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছেন। উত্তর কলকাতায় ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের মিছিলে নেতৃত্ব দেন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। ছিলেন জনপ্রতিনিধি অয়ন চক্রবর্তী-সহ অন্যান্য নেতৃত্ব ও কর্মী-সমর্থকরা। উত্তর কলকাতায় মিছিল করেন বিধায়ক সুপ্তি পাণ্ডে। তৃণমূল ভবনেও বাবাসাহেবকে শ্রদ্ধা জানান সুব্রত বক্সি-সহ অন্যরা। সারা বাংলার প্রতিটি জেলায়, ব্লকে, ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা এই প্রতিবাদ মিছিলে শামিল হয়েছিলেন বিকেল থেকেই।
সোমবার সপ্তাহের শুরুর দিন শহরের বিভিন্ন এলাকায় যানজটরের সৃষ্টি হয় বিজেপির বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা সর্বস্তরে ঝাঁপিয়ে পড়েন।
আবার দেখা যায় নদিয়া মুর্শিদাবাদ মালদাতেও একাধিক কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। মুর্শিদাবাদের সাংসদ আবু তাহের খান এবং জঙ্গিপুর সাংসদ এলাকার খলিলুর রহমানের নেতৃত্বে বিশাল প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। সাংসদ আবু তাহের খান বলেন, আমরা সংবিধানপ্রণেতা আম্বেদকরকে শ্রদ্ধা করি এবং তার আদর্শ মেনে চলি কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁকে যে অপমান করেছেন, তা মেনে নেওয়া যায় না। খলিলুর রহমান বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কুরুচিকর মন্তব্যের আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। হুগলি জেলার জাঙ্গিপাড়া ফুরফুরা-সহ বিভিন্ন এলাকায় জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ শামিম আহমেদের নেতৃত্বে প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।