পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: পাকিস্তান ফিরে যাও মন্তব্যের জের। অস্ট্রেলিয়ার বিরোধী দলনেতা সেন পলিন হ্যানসনের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আইন লঙ্ঘনের মামলা। যার জেরে অস্ট্রেলিয়ান বিচারকের রোষানলের স্বীকার পলিন হ্যানসন।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিচারপতি অ্যাঙ্গাস স্টুয়ার্ট তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন, হ্যানসন যেই পোস্টটি করেছেন তা নিঃসন্দেহে বর্ণবাদী, নেটিভিস্ট এবং মুসলিম বিরোধী।
তাই ওই পোস্টটি রিমুভ করে দেওয়া ও পুরো মামলা চলাকালীন ফারুকীর যা খরচ হয়েছে তার কিয়দংশ ফিরিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছিলেন ফারুকী। তবে রায়ে হতাশ হ্যানসন।
আরও পড়ুনঃ নরবলি ! তন্ত্রসাধনায় সাফল্য লাভের জন্য উত্তরপ্রদেশে তান্ত্রিকের হাতে প্রাণ খেয়াল ভাই-বোন
জানা গেছে, পাকিস্তানে জন্মগ্রহণকারী অস্ট্রেলিয়া বংশদ্ভুত সেন মেহরিন ফারুকী হ্যানসনের বিরুদ্ধে ফেডারেল আদালতে অভিযোগ দায়ের করে। ২০২২ সালে সোশ্যাল সাইট এক্স (পূর্বতন টুইটার) –এ আপত্তিকর পোস্ট করায় বৈষম্যমূলক আইন লঙ্ঘনের অধীনে হ্যানসনের বিরুদ্ধে মামলা করে।
ঘটনার সূত্রপাত রানী এলিজাবেথ প্রায়াণের দিন ।
ফারুকী পোস্ট করে লেখেন, রানীর প্রয়াণে আমি একটুও শোকস্তব্ধ নয়। আমি উপনিবেশিত মানুষের জীবন, জমি এবং সম্পদের উপর নির্মিত বর্ণবাদী সাম্রাজ্যের নেতার জন্য শোক করতে পারি না। সেই পোস্টের পাল্টা জবাব দিয়েছিলেন বছর ৭০-এর পলিন হ্যানসন। তিনি ফারুকীকে কটূক্তি করে বলেছিলেন, শুধু সুবিধা নেওয়ার জন্য অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসন করেছিলেন ফারুকী। যেখান থেকে এসেছেন সেখানে ফিরে যান। ফারুকী(৬১) একজন প্রকৌশলী। পাকিস্তানে জন্মগ্রহণ করলেও ১৯৯২ সালে স্বামীর সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় চলে আসেন তিনি।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে ফারুকী বলেন, এই দেশ সবার।
বিভিন্ন কারণে আমরা যারা এখানে এসেছি, তাঁদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমরা বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। এবং জয়ী হয়েছি। যদিও বিচারকের রায়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন হ্যানসন। তিনি বলেন, রায়টি বর্ণবৈষম্য আইনের একটি “অনুপযুক্তভাবে বিস্তৃত প্রয়োগ” প্রদর্শন করেছে। তিনি বলেন, রাজনৈতিক মত প্রকাশের স্বাধীনতাতে হস্তক্ষেপ এই রায়। তিনি আরও বলেন, আমি কোনও ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত আনার জন্য না আমি রাজনৈতিকদিক থেকে ওই পোস্ট করেছিলাম। পোস্ট করার সময় আমি ফারুকীর ধর্ম সম্বন্ধে ওয়াকিফহাল ছিলাম না।