পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : দীর্ঘ ২২ দিন জেলে কাটিয়েছেন শাহরুখ পুত্র আরিয়ান ।৩০ অক্টোবর জামিন পান তিনি।এরপর ফের শুক্রবার মুম্বইয়ে এনসিবি–র দপ্তরে হাজির হলেন আরিয়ান খান। জামিনের শর্তে আগেই বলা হয়েছিল, প্রতি শুক্রবার এনসিবি–র দপ্তরে হাজিরা দিতে হবে তাঁকে।
২ অক্টোবর গোয়াগামী প্রমোদতরীতে তল্লাশি চালায় এনসিবি। আটক করে আরিয়ান সহ ১০ জনকে। পরের দিন, আরিয়ান, তাঁর বন্ধু আরবাজ মার্চেন্ট, মুমুন ধামেচা সহ আট জনকে গ্রেপ্তার করে এনসিবি। এর পর নিম্ন আদালত এবং এনসিবি আদালত আরিয়ানের জামিনের আর্জি খারিজ করে। অবশেষে বম্বে হাইকোর্ট আরিয়ান, আরবাজ, মুনমুনকে জামিন দেয়।
এদিন এনসিবি দফতরের সামনে দেখা মিলল শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খানের। সাদা টি-শার্ট ও নীল-হলুদ জ্যাকেট পরে কেন্দ্রীয় মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থার ব্যালাড এস্টেটের অফিসে হাজির হন আরিয়ান। গত শনিবার আর্থার রোড জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর প্রথম মন্নতের বাইরে পা রাখলেন আরিয়ান।
জামিনের ১৪টি শর্ত দেওয়া হয়েছে। শর্তে বলা হয়, প্রতি শুক্রবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টোর মধ্যে আরিয়ানদের হাজির দিতে হবে এনসিবি–র দপ্তরে। শহর ছাড়ার আগে অনুমতি নিতে হবে। দেশ ছাড়তে পারবেন না। পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে। তদন্তে সাহায্য করতে হবে। শর্ত না মানলে আরিয়ানদের জামিন খারিজের আবেদন করবে এনসিবি।
আরিয়ানের গ্রেফতারির পর থেকে শিবসেনা নেতা নবাবমালিক এনসিবি কর্তা ওয়াংখেড়েরে পুরাতন নানা নথিপত্র বাইরে আনতে শুরু করেছেন। তাতেই ব্যাপক বিপাকে পড়েছেন তিনি। ওয়াংখেড়ের বাবার নাম যে দাউদ তা সামনে আনেন নবাব মালিকই।সমীর ওয়াংখেড়ের বাবা অবশ্য বলেন, তিনি কেবল বিয়ের জন্যই মুসলিম নাম ব্যবহার করেন। তার বেশি কিছু নয়।সমীরের নিকাহর ছবিও টুইটে প্রকাশ করেন নবাব মালিক। তা নিয়েও কম বিড়ম্বনায় পড়তে হয়নি এনসিবি কর্তাকে।