পুবের কলম প্রতিবেদক: তিলজলা গুলিকাণ্ডে গ্রেফতার করা হল একজনকে। মূল অভিযুক্ত জীবত রায়ের ভাই রিবোধ রায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার রাতেই তাকে কাঁচরাপাড়া থেকে গ্রেফতার করেছে লালবাজার গুন্ডাদমন শাখার আধিকারিকরা। শনিবার সকালে তিলজলায় গুলি চলার অভিযোগ ওঠে। একইসঙ্গে বোমাবাজিও হয়। অভিযোগ ওঠে কাকা-ভাইপোর গোলমালের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। রাজু রায় নামে এক যুবককে চপার দিয়ে জখম করার অভিযোগ ওঠে জীবত ও তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে। তদন্তে নেমে শনিবার রাতেই গ্রেফতার করা হয় জীবতের ভাই রিবোধকে। রবিবার তাঁকে আলিপুর আদালতে তোলা হলে ৩১ মার্চ পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে এদিন জীবত রায়ের মা ফুলাদেবী ও বোন ববিকে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জীবতের সন্ধান পেতে চাইছে। এখনও জীবত রায় ও তাঁর তিন ভাইকে খুঁজছে তিলজলা পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার অর্থাৎ হামলার ঘটনার আগের দিন রাজু রায়ের সঙ্গে জীবত রায়ের বচসা হয়। রাজু রায়ের বাবা দেবকুমার রায় জানান, ২ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল জীবত রায়কে। জীবত জানিয়েছিলেন আরও বেশি টাকা তিনি ফেরত দেবেন। এখানে প্রমোটিং সংক্রান্ত কোনও বিষয় থাকতে পারে বলেও সন্দেহ অভিযুক্তদের। এরই মধ্যে শনিবার সকালে গোলমাল শুরু হয়। ইতিমধ্যেই পুলিশের হাতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নানা তথ্য উঠে এসেছে। প্রমোটিং সাট্টা খেলা এমনকী বিভিন্ন অবৈধ কাজকর্মে জীবত রায়দের যুক্ত থাকার একটা ইঙ্গিত মিলেছে।
রাজু রায়ের বাবা বলেন, শনিবার ছেলে মাংস আনতে গিয়েছিল। ওরা সব তৈরি ছিল। সমানে গুলি চালাতে শুরু করে। ছেলে পালাতে গিয়ে রাস্তায় পড়ে যায়। এরপরই চপার দিয়ে মারে ছেলেকে। আমি ছাড়াতে গেলে আমাকেও চপার দিয়ে মারে। আমারও সেলাই হয়েছে হাতে। রড দিয়েও মেরেছে। হাতে ব্যথা। শুক্রবার সাট্টা চলছি। পাতা বিক্রি করছিল। ওরা পাঁচটা ভাইই গুন্ডা। পার্টির লোকজন এসে ওগুলো বন্ধ করে দেয়। আমার ছেলেও সে সময় গিয়েছিল। তাতেই রাগ হয়। সেই রাগেই ছেলেটাকে মেরেছে।