পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ আর্থিক কেলেঙ্কারিতে নাম জড়াল আদানি গোষ্ঠীর। ভারতের বৃহত্তম সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পের বরাত পেতে সরকারি আধিকারিকদের বিপুল পরিমাণ টাকা ঘুষের প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে গৌতম আদানির বিরুদ্ধে। শুধু গৌতম আদানিই নন, তাঁর ভাইপো সাগর আদানির বিরুদ্ধেও সরকারি আধিকারিকদের ঘুষের প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতারি পরানো জারি করেছে আমেরিকার প্রশাসন।
অভিযোগ, ভারতের বৃহত্তম সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পের বরাত পেতে ভারত সরকারের আধিকারিকদের ২২০০ কোটি টাকারও বেশি ঘুষ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন গৌতম আদানি এবং তার ভাইপো সাগর আদানি। দেশের সবচেয়ে বড় সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য বিপুল পরিমাণ এই টাকা ঘুষের প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ গৌতম আদানি-সহ মোট সাত জনের বিরুদ্ধে।
জানা গিয়েছে, এই ঘুষের মামলায় গৌতম আদানির পাশাপাশি নাম রয়েছে তাঁর ভাইপো সাগর আদানি, বিনীত জৈন (যিনি আদানি গ্রীন এনার্জি লিমিটেডের সিইও) রঞ্জিত গুপ্ত (যিনি ২০১৯-২০২২ সালের মধ্যে অ্যাজিউর পাওয়ার গোবাল লিমিটেডের সিইও ছিলেন), রূপেশ আগরওয়াল, যিনি এছাড়াও কাজ করেছিলেন অ্যাজিউর পাওয়ার, সিরিল ক্যাবনেস, অস্ট্রেলিয়া এবং ফ্রান্সের নাগরিক। সৌরভ আগরওয়াল এবং দীপক মালহোত্রা, তিনজনই কানাডিয়ান প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর সাথে কাজ করেছেন। গৌতম আদানি, তাঁর ভাইপো-সহ কয়েকজন শিল্পপতির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আমেরিকার আদালত।
এমনকী মার্কিন প্রশাসনের আরও অভিযোগ, এই তদন্তে আদানি গোষ্ঠীর তরফে ইচ্ছাকৃতভাবে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল।
মার্কিন প্রশাসনের দাবি, ভারতের বৃহত্তম সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পের বরাত পাওয়ার জন্য ২০২১ সালের জুলাই মাস থেকে ২০২২ এ ফেব্রুয়ারি মাঝামাঝি সময়ে ভারত সরকারের আধিকারিকদের বিপুল পরিমাণ টাকা ঘুষ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল আদানি গোষ্ঠী। যদিও আদানি গ্রুপের মুখপাত্র জানিয়েছেন, শীঘ্রই একটি বিবৃতি জারি করা হবে। আদানি গোষ্ঠীর সূত্রগুলি আরও জানিয়েছে, একটা অভিযোগ উঠেছে মাত্র। দোষ প্রমাণ না হলে নির্দোষ বলেই ধরে নেওয়া হয়।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয়বারের প্রত্যাবর্তনের পর এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্টে গৌতম আদানি ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়ে লিখেছিলেন, “ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে অংশীদারিত্ব গভীর হওয়ার সাথে সাথে আদানি গ্রুপ তার বিশ্বব্যাপী দক্ষতাকে কাজে লাগাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মার্কিন শক্তি সুরক্ষায় ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে এবং স্থিতিস্থাপক অবকাঠামো প্রকল্পে আগ্রহী। যে প্রকল্পে ১৫ হাজার কর্মসংস্থান তৈরি করাই লক্ষ্য।”