পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ “ইয়া আল্লাহ… আমি ব্যক্তিগতভাবে এই মুহুর্তে খুব গর্বিত,” গ্র্যামি আওয়ার্ড পাওয়ার খবর পাওয়ার পর এটাই ছিল আরুজ আফতাবের প্রথম ও প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া। সঙ্গীত জগৎতের সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড পেলেন পাকিস্তানি কন্যা আরুজ আফতাব।উল্লেখ্য ১৯৯৬ সালে বেস্ট ট্র্যাডিশনাল ফোক অ্যালবাম ও বেস্ট ওয়ার্ল্ড মিউজিক অ্যালবামের জন্য গ্র্যামিতে নমিনেশন পান উস্তাদ নুসরত ফতেহ আলি খান। “মহব্বত’’ গানের জন্য আরুজকে গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। গ্লোবাল পারফরম্যান্স বিভাগে’ সেরার শিরোপা ছিনিয়ে নিয়েছেন আরুজ।
২০০৫ সাল থেকে আরুজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা। আরুজ আফতাবের এই অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তিতে গর্বিত এশিয়া মহাদেশের সঙ্গীতপ্রেমীরা।
২০০৫ সালে আরুজ চলে আসেন মার্কিন মুলুকে। সঙ্গীত নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন বার্কলে কলেজ অফ মিউজিকে। ২০১৪ সালে মুক্তি পায় তাঁর প্রথম গানের অ্যালবাম ‘বার্ড আন্ডার ওয়াটার’। প্রথম অ্যালবাম থেকেই নজরে পড়েছিলেন আরুজ। এমনকী, তাঁর প্রথম অ্যালবাম চার্ট বাস্টারেও বেশ কিছুদিন জায়গা করে নিয়েছিল। আরুজ গজল এবং শাস্ত্রীয় সংগীতে পারদর্শী।
জানা যাচ্ছে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও পছন্দ করেন আরুজের গান। যে গান গেয়ে আরুজ গ্র্যামি পেলেন সেই “মহব্বত’’ গানটি ওবামার সামার প্লে লিস্টেও ছিল।
সেরা নতুন শিল্পী বিভাগে আরুজ আফতাবের সঙ্গে মনোনয়ন পেয়েছিলেন অলিভিয়া রদ্রিগো, ফিনিয়াস, দ্য কিড লারোই এবং জিমি অ্যালেন।
সউদি আরবে এক পাক বংশোদ্ভূত পরিবারে জন্ম নেন আহুজা। পাকিস্তানি অভিনেত্রী মাহিরা খান জানিয়েছেন আরুজের এই সাফল্যে তিনি এবং তাঁর পাশাপাশি এশিয়ার সমস্ত সঙ্গীতপ্রেমী মানুষ আজ গর্বিত। সকলকে গর্বিত করেছেন আরুজ আফতাব। রবিবার লাসভেগাসে ৬৪তম গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডে অনুষ্ঠানে এই সম্মান তুলে দেওয়া হয় আরুজার হাতে। “ভালচার প্রিন্স” অ্যালবামের “মহব্বত” গানটির জন্য এই স্বীকৃতি পেলেন এই পাক গায়িকা। ১৯৮৫ সালের ১১ মার্চ তাঁর জন্ম। আরুজ যে শুধু একজন সঙ্গীতশিল্পী তাই নন একই সঙ্গে তিনি একজন সুরকারও বটে। হিন্দুস্থানি রাগসঙ্গীত এবং জ্যাজ মিউজিকেও রয়েছে তাঁর সমান পারদর্শিতা।