পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ আজ, সোমবার ডিস্ট্রিক্ট জজ-এর উপস্থিতিতে আনিস খানের দেহ কবর খুঁড়ে তোলা হল। এই কাজের পুরোটাই ভিডিওগ্রাফি হয়েছে। সেইসঙ্গে তদন্তকারী অফিসার এই দেহ তোলার ছবি, স্টিল ফটোগ্রাফি করেছেন।
এদিন তার দেহ নিয়ে যাওয়া হবে এসএসকেম-এ। সেইখানেই হবে আনিসে দেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত। ময়নাতদন্তে দেখা হবে আনিসে দেহে আঘাত, তার দেহের কোথায় হাড় ভেঙেছে সহ অন্যান্য শারীরিক আঘাত। হাই কোর্টের নির্দেশ অনুসারে সমস্ত প্রক্রিয়াটাই হবে ডিস্ট্রক্ট জজের সামনে। থাকবেন বিএমওএইচ।
এর আগে আনিসের দেহ উলুবেড়িয়া হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্ত করা হয়। ময়নাতদন্তে কারচুপির অভিযোগ তুলে, দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য আনিসে পরিবারের তরফে দাবি জানানো হয়। তবে সিট-এর নেতৃত্বে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের কথা নাকচ করে দেয় পরিবার। এর পরেই হাই কোর্ট রায় দেয় সিট-এর উপর ভরসা রেখে ডিস্ট্রিক্ট-জজের উপস্থিতিতে আনিসের দেহ ময়নাতদন্তের করা হবে।
সেই প্রস্তাবে সম্মতি জানায় আনিসের পরিবার। এদিকে সোমবার আনিসের দেহ কবর থেকে তুলে নেওয়ার কথা থাকলেও ফের শনিবার কাকভোরে সিট-এর সদস্যরা পরিবারকে কিছু না জানিয়ে দেহ তুলতে যান। ফের স্থানীয়দের বাধার সামনে পড়ে সিট-এর সদস্যরা। স্থানীয়রা বলে,’এইভাবে পরিবারকে না জানিয়ে দেহ তোলা মানে, চুরি করা। আমরা দেহ তুলতে দেব না।’ সেই দিনের মতো এই প্রক্রিয়া থমকে যায়।
আজ আনিস খানে দেহ তোলা নিয়ে ফের জটিলতা তৈরি হয় আজ। পরিবার ও স্থানীয়দের তরফে দাবি করা হয় ডিস্ট্রিট জজের উপস্থিতিতে তবে দেহ তুলতে দেওয়া হবে।
এদিকে আজ সকাল থেকে পরিবেশ পরিস্থিতি ঠিক থাকলে বেলার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সকাল সাড়ে ১০ টা নাগাদ উত্তেজনা তৈরি হয়। আনিসের পরিবারের বলা হয়, ডিস্ট্রিট জজের সামনেই দেহ তুলতে দেওয়া হবে। সেইমতো ডিস্ট্রিট জজ আসার পরেই পুরো প্রক্রিয়া শুরু হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকেন ডিস্ট্রিট জজ, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, তদন্তকারী অফিসার। ছিলেন সাংবাদিকরা। সেই সঙ্গে বহু স্থানীয় মানুষ ভিড় করে।
আজই এসএসকেএম -এ দেহ নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে হবে এই দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের কাজ। এসএসকেএম-এ যাবেন না আনিসে বাবা ও দাদা। তবে পরিবারে অন্যান্য সদস্যরা থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।
আজ সকালে সিট-এর সদস্যরা আনিসের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে, দেহ তোলার অনুমতি চায়। তার পরে সেই নথিতে সই করেন আনিসে বাবা। তার পরেই শুরু হয় গোটা প্রক্রিয়া।