পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ আমতার ছাত্রনেতা আনিস খান কাণ্ডে তদন্ত এখনও বিশবাঁও জলে। ঘটনার দিন কি হয়েছিল, এই ঘটনার নেপথ্যে কে বা কারা রয়েছে সে সম্পর্কে এখনও কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ। এদিকে আমতা্র ছাত্র নেতা মৃত্যুর কয়েকদিন পরেই তার দাদার মোবাইলে একটি হমকি ফোন আসে। সেই ফোনে ‘সিবিআই’ তদন্ত চাইলে তাকে ও তার বাবাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়।
রবিবার এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম সারোয়ার হোসেন। তিলজলা এলাকা থেকে ওই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। সিআইডির তথ্যের ভিত্তিতে তিলজলা এলাকায় অভিযান চালায় আমতা পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় সারোয়ারকে। এই সারোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এই শহরে বসেই বেআইনি টেলিফোন এক্সচেঞ্জ চালাচ্ছিল সে। ভয়েস ওভার আইপি বা ভিওআইপি কলের মাধ্যমে বিদেশ থেকে আসছিল ফোন। যেখানে ব্যবহার করা হয়েছিল তিলজলা এক্সচেঞ্জ-এর সার্ভার। কলকাতা পুলিশের সাইবার থানা এই সার্ভারের বিষয়টি ধরে।
সম্প্রতি আমতার সারদা দক্ষিণ খাঁ পাড়ায় ছাত্র নেতা আনিস খানের খুনের ঘটনায় ঘটে। তাকে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় আমতার থানার হোম গার্ড ও সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আনিসের পরিবারের লোকজন দাবি করেন, আমতা থানার একজন পুলিশ আধিকারিক এবং তিনজন সিভিক ভলান্টিয়ার এই ঘটনায় যুক্ত। আনিসের পরিবারের তরফে অভিযোগ তোলা হয়, বাগনান কলেজে পড়ার সময় আনিস এসএফআই করতেন। এই কলেজে ছাত্র রাজনীতি করার সময়ই বাগনান থানায় এই অভিযোগ দায়ের হয়। পরিবারের দাবি, মাঝে এতগুলো বছর কোনও সমন আসেনি। হঠাৎই এর মধ্যে গত ১৮ ফেব্রুয়ারির বাড়িতে চড়াও হয় পুলিশ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সিট। হাইকোর্টে নির্দেশে আনিসের দেহ দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য এসএসকেএম-এ পাঠানো হয়। এছাড়াও আনিসের মোবাইল উদ্ধার করে হায়দরাবাদের ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। আমতা থানার ওসিকেও ভবানী ভবনে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছ।