পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : আমতার ছাত্রনেতা আনিস খান হত্যাকাণ্ডে বিক্ষোভ অব্যাহত। রবিবার এই ঘটনায় হাওড়া গ্রামীণ পুলিশ সুপার সৌম্য রায়কে ভবানী ভবনে তলব করা হল। ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট পুলিশ সুপারের কাছ থেকে চাওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ছাত্রনেতা আনিসের মৃত্যুর সঠিক তদন্তের দাবিতে পথে বাম ছাত্র যুব সংগঠন। আমতা থানা ঘেরাও। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, ভাঙল ব্যারিকেড। সব মিলিয়ে বাম বিক্ষোভ ঘিরে ধন্ধুমার পরিস্থিতি হাওড়ার আমতায়। রবিবারই হাওড়া গ্রামীণের পুলিশ সুপারকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল ভবানী ভবনে। পুলিশ সুপারের কাছ থেকে ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট নেন ডিজি। ডিএসপি পদমর্যাদার এক আধিকারিক ঘটনার তদন্ত করবেন বলে ভবানী ভবন সূত্রে খবর।
এদিন ফরেন্সিক টিম নিয়ে আনিসের বাড়ি যায় পুলিশ। সংগ্রহ করা হয় নমুনা। ঘটনার দেড়দিন পেরিয়ে গেলেও মৃত্যুরহস্যের কিনারা এখনও হয়নি। পরিবারের অভিযোগ, গত শুক্রবার রাতে আমতায় আনিস খানের বাড়িতে গিয়েছিল ‘পুলিশ’। তিন সিভিক ভলান্টিয়ার ও এক পুলিশ অফিসার গিয়েছিলেন। ওই চারজনই জোর করে বাড়ির তিনতলায় উঠে যায়। কিছু পরেই ভারী কিছু উপর থেকে নীচে পড়ার আওয়াজ পেয়েই ছুটে যান বাড়ির লোকেরা। তাঁরা দেখেন, আনিস পড়ে রয়েছে। প্রাথমিকভাবে আনিসের বাড়ির লোকেদের দাবি, সেই সময় যারা বাড়িতে এসেছিল তারাই ছাদ থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছে আনিসকে। অর্থাৎ তাঁদের ইঙ্গিত ‘পুলিশের’ দিকেই।
যদিও আমতা থানার তরফে জানানো হয় যে, শুক্রবার রাতে কোনও পুলিশ আনিস খান নামের কোনও ছাত্রের বাড়িতে যায়নি। প্রশ্ন উঠছে যে, তাহলে গত রাতে যে তিন সিভিক ভলান্টিয়ার, এক পুলিশ অফিসার আনিসের বাড়িতে ঢুকেছিলেন তাঁরা কারা? ফলে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ার মৃত্যু ঘিরে রহস্য বাড়ছে। পুলিশের অনুমান, পুলিশের উর্দি পরে আততায়ীরা আনিসের বাড়িতে ঢুকে এই কাণ্ড করেছে। আনিসের বাবা থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।