পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ আনিস কাণ্ডে হত্যারহস্য নিয়ে ক্রমশই জটিলতা বাড়ছে। এখনও সামনে আসেনি প্রকৃত দোষীর নাম। এদিকে আজ, মঙ্গলবার আনিসের দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে ফের উত্তপ্ত হতে পারে কলকাতার রাজপথ। আইএসএফ নেতা, ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে প্রতিবাদে নামছে আইএসএফ। অপর একটি মিছিল করে আজ হাওড়া থেকে প্রতিবাদে শামিল এসএফআই, ও ডিওয়াইএফআই। বিশাল মিছিল ক্রমশ এগিয়ে চলেছে। কার্যত এই দুটি মিছিলকে ঘিরে আজ অবরুদ্ধ হতে পারে কলকাতার রাজপথ। যানজটে নাকাল হওয়ার সম্ভাবনা।
এখনও পর্যন্ত জানা গেছে, শান্তিপূর্ণ মিছিল করার পরিকল্পনা নিয়ে রাস্তায় নেমেছে আইএসএফ। অবস্থান বিক্ষোভের পরিকল্পনা তাদের নেই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে কড়া পুলিশি পাহারা।
উল্লেখ্য, আনিস কাণ্ডে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে হোমগার্ড কাশীনাথ বেরা ও সিভিক ভলান্টিয়ার প্রীতম ভট্টাচার্য। এরা দুজনের সাংবাদিকদের সামনে জানান, ঘটনার দিন আমতা থানার ওসির নির্দেশেই তারা আনিসের বাড়িতে গিয়েছিলেন। তবে আনিসের মৃত্যুর ব্যাপারে কিছু জানেন তারা। তাদের এই ঘটনায় বলির পাঁঠা বানানো হয়েছে। রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য জানান, দুজন পুলিশকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এখনই সব কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে শীঘ্রই সত্য সামনে আসবে।
এর পরেই সিবিআই তদন্ত ও আমতার থানার ওসিকে গ্রেফতারের দাবিতে উত্তপ্ত হয় আমতা থানা চত্বর। ব্যারিকেড ভেঙে দেয় বিক্ষোভকারীরা। ফের হাওড়ার পাঁচলায় এই একই ইস্যুকে সামনে রেখে ক্ষোভে ফেটে পড়ে বাম ছাত্র যুব সমায। গ্রেফতার করা হয় বাম যুব নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে। দফায় দফায় চলে বিক্ষোভ। পুলিশকে লক্ষ্য করে বোতল, ইট ছোঁড়ে বিক্ষোভকারীরা। পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে, র্যাফ নামিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বিক্ষোভকারীরা জানিয়ে দেন, এইভাবে তাদের আটকানো যাবে না।
এদিকে গতকালই দীর্ঘ জটিলতার পরে, কালই আনিসের দেহ এসএসকেম হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। কাল ভবানীভবনে ডেকে জেরা করা হয় ভবানীভবনে। সেই সঙ্গে ঘটনার দিন রাতে যারা ডিউটিতে ছিলেন তাদেরও ডেকে পাঠিয়ে জেরা করা হয়।