৩০ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংসদ ভেঙে নির্বাচন দাবি আল-সদরের

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৪ অগাস্ট ২০২২, বৃহস্পতিবার
  • / 8

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ইরাকের প্রভাবশালী শিয়া ধর্মীয় নেতা মুক্তাদা আল-সদর তাঁর অবস্থান ও মতামত স্পষ্ট করলেন। সংসদ ভেঙে দিয়ে আগাম নির্বাচন চাইছেন তিনি। গত সপ্তাহ থেকে আল-সদরের হাজার হাজার সমর্থক ইরাকি সংসদ ভবন দখল করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে।

 

তারা ইরানপন্থী দলগুলিকে বাদ দিয়ে পরবর্তী সরকার গঠনের দাবি করছে। বুধবার মধ্য ইরাকের পবিত্র শহর নাজাফ থেকে আল-সদর জানিয়েছেন, সংসদে বিক্ষোভ জারি থাকবে। তাঁর দাবি, আবার নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। ইরাকের সংবিধান অনুসারে, পার্লামেন্টের ভোটাভুটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ যদি পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার পক্ষে মত দেয়, তখনই তা ভেঙে দিয়ে আবার নির্বাচন করা যায়।

 

প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট একমত হলে বা এক তৃতীয়াংশ সদস্য চাইলে এই ভোটাভুটি হতে পারে। সম্প্রতি প্রাক্তন মন্ত্রী আল-সুদানিকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মনোনীত করায় আল-সদরের সমর্থকরা ক্ষুব্ধ হয়। গত অক্টোবরে নির্বাচনের পর আল-সদরের দল সবচেয়ে বড় দল হিসাবে উঠে এলেও সরকার গঠনের জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। কিন্তু অচলাবস্থা কাটানোর জন্য আল-সদরের ৭৩ জন পার্লামেন্ট সদস্য ইস্তফা দেন।

 

এর ফলে ইরানপন্থীরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যায়। আল-সদর বলেছেন, তিনি নিশ্চিত যে, ইরাকের মানুষ বর্তমান শাসকদের পুরোপুরি খারিজ করবে। তারা সদরপন্থী আন্দোলনে যোগ দেবে। সদর আরও জানিয়েছেন, তিনি আলোচনা চান না। কারণ, অতীতে এই আলোচনা থেকে কিছুই লাভ হয়নি। রাষ্ট্রসংঘ অবশ্য ইরাকের নেতৃত্বের কাছে অনুরোধ করেছে, তারা যেন বিরোধ ভুলে সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করেন। রাষ্ট্রসংঘের মতে, ইরাকি দলগুলির আলোচনায় বসা দরকার। উল্লেখ্য, ইরাকে প্রায় ১০ মাস ধরে নির্বাচিত সরকার নেই।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সংসদ ভেঙে নির্বাচন দাবি আল-সদরের

আপডেট : ৪ অগাস্ট ২০২২, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ইরাকের প্রভাবশালী শিয়া ধর্মীয় নেতা মুক্তাদা আল-সদর তাঁর অবস্থান ও মতামত স্পষ্ট করলেন। সংসদ ভেঙে দিয়ে আগাম নির্বাচন চাইছেন তিনি। গত সপ্তাহ থেকে আল-সদরের হাজার হাজার সমর্থক ইরাকি সংসদ ভবন দখল করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে।

 

তারা ইরানপন্থী দলগুলিকে বাদ দিয়ে পরবর্তী সরকার গঠনের দাবি করছে। বুধবার মধ্য ইরাকের পবিত্র শহর নাজাফ থেকে আল-সদর জানিয়েছেন, সংসদে বিক্ষোভ জারি থাকবে। তাঁর দাবি, আবার নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। ইরাকের সংবিধান অনুসারে, পার্লামেন্টের ভোটাভুটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ যদি পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার পক্ষে মত দেয়, তখনই তা ভেঙে দিয়ে আবার নির্বাচন করা যায়।

 

প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট একমত হলে বা এক তৃতীয়াংশ সদস্য চাইলে এই ভোটাভুটি হতে পারে। সম্প্রতি প্রাক্তন মন্ত্রী আল-সুদানিকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মনোনীত করায় আল-সদরের সমর্থকরা ক্ষুব্ধ হয়। গত অক্টোবরে নির্বাচনের পর আল-সদরের দল সবচেয়ে বড় দল হিসাবে উঠে এলেও সরকার গঠনের জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। কিন্তু অচলাবস্থা কাটানোর জন্য আল-সদরের ৭৩ জন পার্লামেন্ট সদস্য ইস্তফা দেন।

 

এর ফলে ইরানপন্থীরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যায়। আল-সদর বলেছেন, তিনি নিশ্চিত যে, ইরাকের মানুষ বর্তমান শাসকদের পুরোপুরি খারিজ করবে। তারা সদরপন্থী আন্দোলনে যোগ দেবে। সদর আরও জানিয়েছেন, তিনি আলোচনা চান না। কারণ, অতীতে এই আলোচনা থেকে কিছুই লাভ হয়নি। রাষ্ট্রসংঘ অবশ্য ইরাকের নেতৃত্বের কাছে অনুরোধ করেছে, তারা যেন বিরোধ ভুলে সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করেন। রাষ্ট্রসংঘের মতে, ইরাকি দলগুলির আলোচনায় বসা দরকার। উল্লেখ্য, ইরাকে প্রায় ১০ মাস ধরে নির্বাচিত সরকার নেই।