৩০ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জম্মু-কাশ্মীরে প্রথমবারের মতো ভোট দেবেন পাকিস্তানি শরণার্থীরা, ৬৮ বছর পরে পেতে চলেছেন জমির অধিকার    

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, সোমবার
  • / 6

 

 

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ জম্মু-কাশ্মীরে ৬৮ বছর পর পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আসা ৫৪০০ শরণার্থী পরিবারকে জমির মালিকানা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ১৯৫৪ সালে, জম্মু, সাম্বা এবং কঠুয়ায় ৫,৮৩৩ একর জমি পাকিস্তানি উদ্বাস্তুদের দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু ৬৮ বছর পরেও তারা মালিকানা পাননি।

প্রকৃতপক্ষে,  ৩৭০ ধারার কারণে ওই উদ্বাস্তুদের জম্মু-কাশ্মীরের নাগরিক হিসাবে বিবেচনা করা হয়নি। যার ফলে তাদের চাকরি করার বা জমি কেনার অধিকার ছিল না। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল করার পরে, সেখানকার বিশেষ রাজ্যের মর্যাদাও শেষ হয়ে গেছে। এবার থেকে সমস্ত ভারতীয় জনগণ জম্মু-কাশ্মীরের নাগরিকদের দেওয়া এই অধিকারগুলোর সুবিধা নিতে পারবে।

গণমাধ্যমে প্রকাশ,  উদ্বাস্তুর সংখ্যা বেড়ে ২২ হাজার হয়েছে, যার মধ্যে জম্মু, সাম্বা এবং কঠুয়ার ৬ টি বিধানসভা কেন্দ্রে তারা শক্তিশালী ভোটার হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিজেপি এই উদ্বাস্তুদের ভোট দেওয়ার অধিকার পাওয়ার সবচেয়ে বেশি সুবিধা পেতে পারে। কারণ, ৩৭০ ধারা বাতিল হওয়ার আগে ওই উদ্বাস্তুদের বিধানসভা নির্বাচনে ভোট দেওয়ার অধিকার ছিল না। এবার সেই অধিকার পাওয়ার ফলে ৬ টি বিধানসভা আসনে উদ্বাস্তুদের ভোট নির্ণায়ক প্রমাণিত হতে পারে।

গণমাধ্যমে প্রকাশ- রাজস্ব বিভাগ পরিবারের সংখ্যা, তাদের দখলে থাকা মোট জমি, জমির স্থিতিসহ বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করছে, যার ভিত্তিতে শরণার্থীদের জমির মালিকানা দেওয়া হবে। আগামীতে একটি বড় কর্মসূচির মধ্যদিয়ে পাকিস্তানি শরণার্থীদের জমির মালিকানার অধিকার দেওয়ার ঘোষণা করা হবে বলেও জানা গেছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

জম্মু-কাশ্মীরে প্রথমবারের মতো ভোট দেবেন পাকিস্তানি শরণার্থীরা, ৬৮ বছর পরে পেতে চলেছেন জমির অধিকার    

আপডেট : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, সোমবার

 

 

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ জম্মু-কাশ্মীরে ৬৮ বছর পর পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আসা ৫৪০০ শরণার্থী পরিবারকে জমির মালিকানা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ১৯৫৪ সালে, জম্মু, সাম্বা এবং কঠুয়ায় ৫,৮৩৩ একর জমি পাকিস্তানি উদ্বাস্তুদের দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু ৬৮ বছর পরেও তারা মালিকানা পাননি।

প্রকৃতপক্ষে,  ৩৭০ ধারার কারণে ওই উদ্বাস্তুদের জম্মু-কাশ্মীরের নাগরিক হিসাবে বিবেচনা করা হয়নি। যার ফলে তাদের চাকরি করার বা জমি কেনার অধিকার ছিল না। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল করার পরে, সেখানকার বিশেষ রাজ্যের মর্যাদাও শেষ হয়ে গেছে। এবার থেকে সমস্ত ভারতীয় জনগণ জম্মু-কাশ্মীরের নাগরিকদের দেওয়া এই অধিকারগুলোর সুবিধা নিতে পারবে।

গণমাধ্যমে প্রকাশ,  উদ্বাস্তুর সংখ্যা বেড়ে ২২ হাজার হয়েছে, যার মধ্যে জম্মু, সাম্বা এবং কঠুয়ার ৬ টি বিধানসভা কেন্দ্রে তারা শক্তিশালী ভোটার হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিজেপি এই উদ্বাস্তুদের ভোট দেওয়ার অধিকার পাওয়ার সবচেয়ে বেশি সুবিধা পেতে পারে। কারণ, ৩৭০ ধারা বাতিল হওয়ার আগে ওই উদ্বাস্তুদের বিধানসভা নির্বাচনে ভোট দেওয়ার অধিকার ছিল না। এবার সেই অধিকার পাওয়ার ফলে ৬ টি বিধানসভা আসনে উদ্বাস্তুদের ভোট নির্ণায়ক প্রমাণিত হতে পারে।

গণমাধ্যমে প্রকাশ- রাজস্ব বিভাগ পরিবারের সংখ্যা, তাদের দখলে থাকা মোট জমি, জমির স্থিতিসহ বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করছে, যার ভিত্তিতে শরণার্থীদের জমির মালিকানা দেওয়া হবে। আগামীতে একটি বড় কর্মসূচির মধ্যদিয়ে পাকিস্তানি শরণার্থীদের জমির মালিকানার অধিকার দেওয়ার ঘোষণা করা হবে বলেও জানা গেছে।