পুবের কলম প্রতিবেদক : রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে এক বছরেরও বেশি সময় জেলে হেফাজতে ছিলেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। গত বুধবার জামিনে ছাড়া পাওয়ার পরে এক সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই সোমবার এবং মঙ্গলবার – পরপর দুদিন বিধানসভায় এলেন জ্যোতিপ্ৰিয় মল্লিক তথা ‘বালু’।
বকেয়া বেতন তুললেন, টিএ ডিএ সেকশন থেকে ৫ নম্বর ফর্ম তুললেন। বিধানসভায় তাঁর ঘর ফিরে পাওয়া নিয়ে কথাও বললেন, গেলেন মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষের ঘরে। উত্তর চব্বিশ পরগনার তৃণমূল বিধায়কদের সঙ্গে দলের সাংগঠনিক পরিস্থিতি নিয়ে খোঁজও নিলেন। জ্যোতিপ্ৰিয় মল্লিকের এই সক্রিয়তা দেখে তাঁর মন্ত্রীত্ব ফিরে পাওয়া নিয়ে জল্পনা চলছে প্রাক্তন মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ মহলে।
তৃণমূল সরকার গঠনের পর থেকেই মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের দায়িত্বে ছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সেইসঙ্গে তাঁকে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সভাপতিও করা হয়েছিল। ছিলেন খাদ্যমন্ত্রীও। তবে একুশের বিধানসভা ভোটের পর তাঁর দায়িত্ব কমিয়ে দেয়া হয়। খাদ্য দপ্তর থেকে সরিয়ে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ বনদপ্তরের মন্ত্রী করা হয় জ্যোতিপ্ৰিয়কে। এরপর ইডি হেফাজতে নেওয়ার পর তাঁকে বনদপ্তর থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়। বনদপ্তরের প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদাকে স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত বন প্রতিমন্ত্রী করা হয়।
ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, জ্যোতিপ্রিয় জামিনে বেরিয়ে আসার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একবার ফোন করেছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। তাঁকে বিশ্রাম নিয়ে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক হাবরার স্থানীয় নেতাদের ডেকে কথাও বলেছেন।
এই সূত্রে তাঁকে মন্ত্রিসভায় ফেরানো নিয়ে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। উল্লেখ, লোকসভা ভোটের পর থেকেই রাজ্য মন্ত্রিসভায় সম্ভাব্য রদবদল নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে মন্ত্রিসভার রদবদল বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক্তিয়ারভুক্ত।