পুবের কলম, ওয়েব ডেস্ক: দিলীপ কুমার সায়রা বানুর কেমিস্ট্রি কারুর অজানা নয়। দিলীপ সাহাব চলে যাওয়ার পর তিনি কতটা অসহায় সেই কথায় অকপটে জানিয়েছেন সায়রা বানু। সায়রা জানান, আমি একদম ভেঙে পড়েছি। আমি কী হারিয়েছি, সেটা আমিই জানি, এই ক্ষতি কাউকে বোঝানোর মতো নয়।
ই টাইমস সায়রা বানুর একটি সংক্ষিপ্ত ইন্টারভিউ প্রকাশ করেছে, যা এই রকম-
দিলীপ সাহাব চলে যাওয়ার পর থেকে প্রায় নিজেকে ঘরবন্দী করে রেখেছেন সায়রা বানু। খুব কমই ঘর ছেড়ে বাইরে বের হন তিনি। এক কথায় খুব পরিচিত ছাড়া কারুর সঙ্গে বিশেষ কথা বলেন না।
সায়রা বানু প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমি অত্যন্ত শোকাতুর। আমি এই শোক থেকে কিছুতেই বের হতে পারছি না। জানি না কিভাবে এই শোক কাটিয়ে আমি বের হতে পারব! তবে আমি কিছুতেই পারছি না….
প্রতিবেদক: আমি বুঝতে পারছি ২৪ ঘন্টা একসঙ্গে কাটানো। দুটি মানুষের একসঙ্গে থাকা। এত সহজে সব স্মৃতি ভুলে যাওয়া সহজ নয়।
সায়রা বানু: আমরা খুব আনন্দের সঙ্গে ছিলাম। সব কিছু খুব দারুণ ছিল। আমি দিলীপ সাহাবের সঙ্গে বাড়িতে কাটাতেই বেশি পছন্দ করতাম। আমি বাড়ির বাইরে যাওয়া, পার্টি করা খুব একটা পছন্দ করি না। আজও আমি সেই ভাবেই থাকতে চাই।
প্রতিবেদক: নিজেকে কতক্ষণ এইভাবে রাখবেন?
সায়রা বানু: আমি জানি না, কবে আমি এই অবস্থা থেকে বের হতে পারব। বাইরে যাওয়ার কোনও মানে নেই এখন…
প্রতিবেদক: আপনি দিলীপ সাহাবকে হারিয়ে তাঁকে আরও বেশি করে অনুভব করছেন?
সায়রা বানু: দিলীপ সাহাবকে হারিয়ে তাঁকে আমি অনুভব করতে চাই না। আমার জীবনে ভীষণভাবে দিলীপ সাহাবকে প্রয়োজন।
প্রতিবেদক: বলুন আপনি আপনার মতো করে…
সায়রা বানু: সত্যি কথা বলতে কি আমি এখন আর কারুর সঙ্গে বেশি কথা বলি না। শুধুমাত্র কিছু খুব কাছের পরিচিত বন্ধুদের মধ্যে নিজেকে আটকে রেখেছি। আমার ভালো লাগে বহু মানুষ আমার পাশে আছেন। আমার খোঁজ খবর নেন তারা। তবে আমি আরও বেশি করে এই মুহূর্তে প্রার্থনা, মেডিটেশন করার দিকে মন দিয়েছি।
প্রতিবেদক: এই গুলি আপনাকে শান্তি দিচ্ছে?
সায়রা বানু: হ্যাঁ, অনেক শান্তি পাই।
প্রতিবেদক: আমি নিশ্চিত যে, দিলীপ সাহাব চাইবেন না, যে আপনি একা থাকুন।
সায়রা বানু: আমি জানি আমার মতো অবস্থায় অনেক মানুষ ছিলেন, যারা এই অবস্থা থেকে নিজেকে বের করে এনেছেন। আমার মনে হয় আমার সঙ্গে তাঁর আত্মিক যোগাযোগ আরও নিবিড় ছিল। দিলীপ সাহাব একজন অসাধারণ মানুষ ছিলেন।
প্রতিবেদক: আপনিও তাঁর (দিলীপ সাহাব) পাশে খুব সুন্দর ভাবে সব সময় ছিলেন। সব কিছুই শক্ত হাতে সামলেছিলেন…
সায়রা বানু: আমি সেভাবেই থাকতে চেয়েছিলাম। তাঁর অসুস্থতা নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন ছিলাম। দিলীপ সাহাবকে সুস্থ করে তুলতে আমি চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখিনি। সব সময় পাশে থাকতাম।