মণিপুর জ্বালানোর পর এবার বাংলা জ্বালাতে এসেছে বিজেপি: মমতা

- আপডেট : ৩ জুলাই ২০২৩, সোমবার
- / 8
কৌশিক সালুই বীরভূম:- বিজেপির জন্য মণিপুরে আগুন জ্বলছে, এবার সেই আগুন বাংলায় জ্বালানোর চেষ্টা করছে। এভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূমের দুবরাজপুর ও খয়রাশোলের ভার্চুয়ালি সভা থেকে কেন্দ্রের সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন। আরও দাবি বাংলায় কুর্মি কামতাপুরি রাজবংশী প্রভৃতির নাম করে বিভেদ সৃষ্টি করছে বিজেপি। সোমবারের এই সভাতে উপস্থিত ছিলেন ফিরহাদ হাকিম জেলা তৃণমূল কোর কমিটির সদস্য কাজল শেখ সহ অন্যান্য নেতৃত্ববৃন্দ।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমার অ্যাক্সিডেন্ট নিয়ে কুৎসা করছে বিরোধীরা। এদিকে কেস্টকে এবং ওর মেয়েকে বিজেপি ফাঁসিয়েছে। আদালতে ওর বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত কোন প্রমাণ করতে পারছে না। ভোট করতে না পারে তার জন্য অন্যায় ভাবে কেন্দ্রীয় এজেন্সি ব্যবহার করে চক্রান্ত করছে। বিজেপি হল ওয়াশিং মেশিন। যেখানে ওদের নেতারা দুর্নীতি করলে বা দুর্নীতি করে ওদের দলে যোগ দিলে তারা পরিষ্কার হয়ে যায়। আমেরিকা থেকে ড্রোন কিনছে ফ্রান্স থেকে কোটি কোটি টাকা দিয়ে সমরাস্ত্র কিনছে কিন্তু ১০০ দিনের কাজের টাকা আবাস যোজনার টাকা আটকে রেখে দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে প্রকল্পের টাকা বরাদ্দ করছে না। যেখানে বাংলার হাজার হাজার মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে। যারা ১০০ দিনের কাজের টাকা পাচ্ছেন না তাদেরকে জল ধরো জল ভরো প্রকল্প থেকে কাজ দেওয়া হচ্ছে। জেলা বিভিন্ন নদীতে সেতু নির্মাণ করে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করা হয়েছে। অজয় নদীর পাড় বাঁধানো হচ্ছে যার ফলে নদী পার সংলগ্ন এলাকা বন্যা থেকে মুক্তি পাবে। রান্নার গ্যাসের দাম বারোশো টাকা হয়ে গিয়েছে।
মমতা বলেন, মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া উজালা গ্যাস প্রকল্পে মানুষ কোন সুবিধা পাচ্ছে না। রেশনের বিনা পয়সায় চাল এখন ওই রান্না দামি গ্যাসে রান্না করে খেতে বাধ্য হচ্ছে আমজনতা। বর্তমানে শাক সবজির অগ্নি মূল্য হয়েছে। রাজ্যে জুড়ে আমাদের যে সুফল বাংলাদেশ সেখানে প্রতি কেজিতে দশ টাকা করে কম নেওয়া হচ্ছে সব কিছুতে যাতে সাধারণ গরিব মানুষদের সুবিধা হয়। কাশ্মীর এবং মনিপুর জ্বালিয়েছে বিজেপি এরপর এখন জাতির নামে বিভাজন করে বাংলাকেও জ্বালাতে এসেছে। এখানে বাম রাম শ্যাম মিলে জোট করেছে। আপনারা কেউ ভোট দেবেন না তাদেরকে। বিশেষ করে বাংলায় বাম আমলে সংখ্যালঘুদের উপর প্রচুর অত্যাচার হয়েছে। নানুরে সিপিএম তৃণমূল করার অপরাধে নিরীহ সংখ্যালঘু দরিদ্র কৃষকদের গণহত্যা করেছিল।
তাদের মাধ্যমে নন্দীগ্রামে গণহত্যা, সিঙ্গুরে তাপসী মালিক কে গণধর্ষণ করে খুন এর মত ঘটনা ঘটিয়েছে। এছাড়াও আনন্দমার্গী থেকে শরণার্থী কাউকে ছাড়েনি তৎকালীন রাজ্যের বাম শাসক। গণহত্যার মাধ্যমে তাদেরকে মেরেছে। বীরভূমে ডেউচা পাঁচামি কোল ব্লক হতে চলেছে। যেখানে লক্ষ লক্ষ বেকার ছেলেমেয়েদের কর্মসংস্থান হবে। ইতিমধ্যেই স্থানীয় যারা জমিদাতা তাদের পরিবার থেকে পুলিশ ও গ্রুপ ডি তে চাকরির নিয়োগ পত্র দেওয়া হয়েছে। আমাদের কাছে ১০০০ একর জমি আছে এবং স্থানীয় আদিবাসী ভাই সহ অন্যান্য মানুষজনেরা স্বেচ্ছায় তাদের জমি শিল্পের জন্য দিচ্ছেন আমাদেরকে। এই প্রকল্প হয়ে গেলে আগামী ১০০ বছর কয়লার যোগানের জন্য ভাবতে হবে না আমাদেরকে।