ভোপাল, ১৫ অক্টোবর: কুনোর পরে এ বার চিতা আসতে চলেছে গান্ধিসাগর অভয়ারণ্যেও। মধ্যপ্রদেশে পর্যটন শিল্প আরও জোরদার করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্দসৌরের জেলাশাসক অদিতি গর্গ। এই চিতাও কি আফ্রিকা থেকে আনা হচ্ছে? নাকি কুনোর চিতাগুলিকেই এখানে পাঠানো হচ্ছে, তা অবশ্য জানা যায়নি।
ভারতে কুনোর পরে গান্ধিসাগরই একমাত্র অভয়ারণ্য হতে চলেছে যেখানে চিতার দেখা মিলবে। তবে ঠিক কবে সেখানে চিতা আনা হবে বা তাদের সংখ্যা কত হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। চম্বল নদীতে বিশেষ আরতি করে এক অনুষ্ঠানের সূচনা করেন জেলাশাসক। সেখানেই চিতা আনানোর খবর জানিয়েছেন তিনি। ২০২২ সালের ১৭ আগস্ট ভারতে পা রেখেছিল আফ্রিকান চিতাদের ফার্স্ট ব্যাচ। এরপর দু’ভাগে মোট ২০টি আফ্রিকান চিতা এসে পৌঁছয় ভারতে।
তাদের সকলকে রাখা হয়েছিল মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে। মোদি হাতে ক্যামেরা, মাথায় হ্যাট পরে পর্যটকের ভঙ্গিতে ছবি তুলতে পোজ দিয়েছিলেন এই চিতা ‘রিলিজ’-এর সময়। ভারতের জল হাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে সমস্যা হয় চিতাদের। একের পর এক মৃত্যুতে তাই কুনো ন্যাশনাল পার্কের পরিকাঠামো এবং পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
এর জেরেই বোধহয় এবার ঠিকানা বদল হতে চলেছে এই চিতাদের। মাত্র এক থেকে দুই মাসের ব্যবধানে কুনো জাতীয় উদ্যানে ছয়টি চিতার মৃত্যু হয়েছিল। শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়াই এর মূল কারণ। জঙ্গলে এলাকা দখলের লড়াই কিংবা মহিলা চিতাকে আকর্ষিত করার চেষ্টা, এই সব কারণেই চিতাদের মৃত্যু হয়েছে। আবার এ দেশে জন্ম নেওয়া চার চিতা শাবকের মধ্যে এখন বেঁচে রয়েছে কেবলমাত্র একটি। সেই চিতায় কি সেখানে যাবে? নাকি নতুন চিতা এনে ফের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হবে!