পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: একাধিক বিষয় নিয়ে আজ শুরু নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠক। রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার বাড়ি প্রকল্প, জল স্বপ্ন প্রকল্পের দ্রুত বাস্তবায়ন, সরকারি জমি দখলমুক্ত করার বিভিন্ন পদক্ষেপ, সরকারি হাসপাতালগুলির পরিকাঠামো, গ্রাম ও শহরের বিভিন্ন রাস্তা, রাজ্যের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের বাজারদর-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা হচ্ছে এদিন।পাশাপাশি বিভিন্ন দফতরের কাজ নিয়েও পর্যালোচনা হবে। মূল্যায়ন হবে বিভিন্ন দফতরের মন্ত্রীদের কাজেরও।
১) নতুন বছরের শুরুতে অনুপ্রবেশ নিয়ে বড়সড় মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, সীমান্ত তৃণমূল বা পুলিশ পাহারা দেয় না। পাহারা দেয় বিএসএফ। তারা সাহায্য না করলে অনুপ্রবেশ হবে কি করে? সীমান্ত পেরিয়ে দুষ্কৃতীরা এসে খুন করে চলে যাচ্ছে। ডিজি রাজীব কুমার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কিছু তথ্য পেয়েছেন। স্থানীয় স্তরেও কিছু কিছু তথ্য মিলেছে। আমাকে সেসব তথ্য সবিস্তারে দেওয়া হোক। আমি এনিয়ে কেন্দ্রকে বড় চিঠি লিখব। আগেও বারবার কেন্দ্রকে এনিয়ে আমি বলেছি। কিন্তু সুরাহা হয়নি।
২) এদিন বিভিন্ন ইস্যু তুলে ধরে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি। জমি বেদখল থেকে সীমান্তবর্তী এলাকার ঢিলেঢালা সুরক্ষা, সব কিছু নিয়েই পুলিশকে কড়া ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়। তিনি বলেন, জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখার দায়িত্ব জেলার এসপি-দের। আর জেলাশাসকরা বিএসএফ-কে সাহায্য করছেন। তাঁদের কেউ কেউ ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করছেন না।
৩) মালদহে খুন প্রসঙ্গে মমতা এদিন বলেন, মালদহে আজ খুন হয়ে গেল আমাদের পুরসভার একজন প্রতিনিধি। এসপি-র অপদার্থতার জন্য। আগেও অনেকবার হামলা হয়েছে। বিডিও-কে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বর্ডার আর কালিয়াচক নিয়ে যদি ব্যস্ত থাকেন, তাহলে জেলার উন্নয়ন হবে না।
৪) অর্থ দফতর নিয়েও ক্ষোভ উগড়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। জানান, অর্থ দফতরের সচিব প্রভাত মিশ্র খুব ভাল মানুষ। কিন্তু তোমার দফতরে অনেক বামপন্থী লোক আছে। এটা আলিমুদ্দিন স্ট্রিট বানিয়ে দিয়েছে। বেশিরভাগ লোকই বামপন্থী রাজনীতির আলোচনা করে ওখানে বসে। দরকার হলে নতুন লোক নিয়ে এসে কাজ করাও।