পুবের কলম প্রতিবেদক: কেন্দ্রীয় সংস্থাকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার অভিযোগ বহুদিনের। কেন্দ্রের শাসকদল বিরোধী শক্তিকে রাজনৈতিকভাবে না পেরে ক্ষমতার অপব্যবহার করে এমনই অভিযোগ তোলা হয়। ফের একই অভিযোগ করলেন তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। প্রসঙ্গত, কয়লাপাচার-কাণ্ডে পুনরায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেছে ইডি। এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট বা ইডি’র এমন অতিসক্রিয়তার পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কাজ করছে।
বৃহস্পতিবার বিধানসভায় সাংবাদিকদের সামনে এমনই অভিযোগ করেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি দাবি করেন, বিজেপি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে এই কাজ করছে। বারবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন শিক্ষামন্ত্রী।
এ দিন ব্রাত্য বসু দাবি করেন কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির মাধ্যমে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বাস্তবায়িত করতে চাইছে একটি দল। উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোটে বিজেপির সাফল্যের পর থেকে এই প্রবণতা আরও বেড়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, বিজেপির অনেক নেতাই এই সব কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। তবে তা জেনেও তাঁদের অনেককেই ডাকা হচ্ছে না। ব্রাত্য বসুর কথায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপমান করার চেষ্টা চলছে।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বারবার ডেকে হেনস্থা করা হচ্ছে। বিজেপি এ ক্ষেত্রে প্রতিহিংসার রাজনীতি বিজেপি করছে বলেও দাবি করে ব্রাত্য বসু।
তিনি আরও বলেন, উত্তরপ্রদেশের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পরই এজেন্সির তৎপরতা শুরু হয়ে গেল। শুধুমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসকে ছোট করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিজেপি বাংলায় পেরে উঠছে না বলেই এই কাজ করছে বলেও মন্তব্য করেন ব্রাত্য বসু।