কলকাতাTuesday, 2 November 2021
  1. আজকের শিরোনাম
  2. ইতিহাস-ঐতিহ্য
  3. ক্রাইম
  4. খেলা
  5. জেলা
  6. দেশ
  7. ধর্ম ও দর্শন
  8. পর্যটন
  9. ফোটো গ্যালারি
  10. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  11. বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
  12. বিনোদন
  13. বিশ্ব-জাহান
  14. ব্লগ
  15. ভ্রমণ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ছট পুজো নিয়ে বই প্রকাশ থেকে একগুচ্ছ নির্দেশিকা কলকাতা পুরসভার

mtik
November 2, 2021 8:21 pm
Link Copied!

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ ছট পুজো নিয়ে বই প্রকাশ করল কলকাতা পুরসভা। পুজোর দুদিন কলকাতা পুলিশের অফিসাররা ও পুর আধিকারিকরা কোথায় কোথায় থাকবেন তার যাবতীয় বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়েছে। এর ফলে প্রয়োজনে যে কোনও সাহায্যের জন্য তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সহজ হবে। অন্যদিকে–  ওইদিন গঙ্গা দূষণ রুখতে আঁটোসাঁটো ব্যবস্থা নিচ্ছে কলকাতা পুরসভা। কেমডিএ ও কলকাতা পুরসভার যৌথ উদ্যোগে তৈরি হচ্ছে কৃত্রিম জলাশয়। কড়া নিরাপত্তায় ঘিরে ফেলা হবে প্রত্যেক ঘাট চত্বর। ওইদিন যাতে কোনও ব্যবস্থার ত্রুটি না থাকে তার জন্য পুলিশের সঙ্গে ঘাট পরিদর্শনে করবেন কলকাতা পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য দেবাশীষ কুমার। তবে এবারেও আদালতের নির্দেশে রবীন্দ্রসরোবরে বন্ধ থাকবে ছট পুজো।

ছট পুজো উপলক্ষে পুরনিগমে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (সদর ) শুভঙ্কর সিনহা সরকার। সেই বৈঠকে ঠিক হয়,  কেমডিএ ও কলকাতা পুরসভার যৌথ উদ্যোগে ১৩৮টি কৃত্রিম জলাশয় তৈরি করা হচ্ছে শহরে। এই জায়গাগুলোয় যাতে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য পুরসভার কর্মীরা মজুত থাকবেন। এছাড়া শহরের গঙ্গার ঘাটগুলোতে কলকাতা পুলিশের পাশাপাশি ইন্ডিয়ান নেভির রেসকিউ টিম থাকবে। ফিরহাদ হাকিম জানান–  আগামী ১০ ও ১১ নভেম্বর ছটপুজোর দু’দিনই গঙ্গার ঘাটগুলিতে আলোর ব্যবস্থা থাকবে। প্রত্যেকটি জলাশয়ে স্নান এবং পুজোর পর ব্রতপালনকারীদের পোশাক পরিবর্তনের জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা রাখছে পুরসভা ও কেমডিএ।

অন্যদিকে–  কেমডিএ’র তরফে জানানো হয়েছে–  ছটপুজোর পুণ্যার্থীরা থাকেন এমন ওয়ার্ডের কাছে হোর্ডিং ও পোস্টার দিয়ে বিকল্প জলাশয়ের কথা জানানো হচ্ছে। চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে কেউ দীর্ঘদিনের প্রথা মেনে রবীন্দ্র সরোবরে ব্রত পালনে না যান। গঙ্গার ৩৭টি ঘাট এবং যোধপুর পার্ক– পোদ্দারনগর, আনন্দপুর ও পাটুলি মিলিয়ে মোট ১৭০টি ঘাট ছটপুজোর জন্য প্রস্তুত হয়েছে বলে জানান প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য তথা বিধায়ক দেবাশিস কুমার।

এদিকে ছট পুজোর আগেই রয়েছে কালীপুজো। সেক্ষত্রে প্রতিমা নিরঞ্জনের দিন ঘাটগুলোতে বিশেষ ব্যবস্থা রাখছে কলকাতা পুরসভা। মূর্তিতে ব্যবহৃত রাসাযüনিক রঙে যাতে গঙ্গাদূষণ না হয়–  সেকথা মাথায় রেখেই বিসর্জনের মুহূর্তেই তা ক্রেন দিয়ে তুলে নেওয়া হবে। প্রতিমার সঙ্গে আনা ফুল–  ঘট–  মালা ইত্যাদি উপকরণ নদীতে ফেলায় জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। সেগুলো ফেলার জন্য–  নদীর ঘাটেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঘাটের সমস্ত আবর্জনা পুরসভার গাড়ি এসে সরিয়ে ফেলবে মুহূর্তের মধ্যেই। এই সমস্ত ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখবে নিকাশি– কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং উদ্যান বিভাগ।

ঘাট পরিস্কার করার বার্তি সতর্কতা প্রসঙ্গে এক পুর অফিসার জানান– প্রত্যেক ঘাটগুলি পরিষ্কার করা হবে আগে থেকেই। ধুয়ে ফেলা হবে ঘাট চত্বরও। অন্যদিকে– প্রতিমা নিরঞ্জনে কৃত্তিম জলাশয় তৈরির আবেদন এলে তা পূরণ করবে কলকাতা পুরসভা।