গরু পাচার অভিযোগে হরিয়ানার এক মুসলিম যুবককে হত্যা বজরং দলের
ইমামা খাতুন
- আপডেট :
১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, বুধবার
- / 14

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: গরু পাচারকারী সন্দেহে ৩ মুসলিম যুবকের ওপর অতর্কিত হামলা চালাল বজরং দল। গুরুতর অবস্থায় আহত দুই যুবককে উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এক যুবকের শারীরিক অবস্থার অবনতী হলে নলহারের সরকারি মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় ওই যুবকের। হরিয়ানার নূহ জেলার ঘটনা।
সূত্রের খবর,মৃতের নাম ওয়ারিস। ২২ বছরের ওই যুবককে পিটিয়ে হত্যা করে স্বঘোষিত গোরক্ষকরা এমনটাই অভিযোগ করেছে নিহতর পরিবার। অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তির দাবি জানিয়েছে তারা। মৃত ওয়ারিস হরিয়ানার নূহ থানার অন্তর্গত হুসেনপুর গ্রামের বাসিন্দা। যদিও মৃতের পরিবারের অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশের দাবি, সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ওয়ারিসের।
এই প্রসঙ্গে নূহ থানার এস পি বরুন সিংলা জানিয়েছেন, এই ঘটনার কোনও সত্যতা নেই। সড়ক দুর্ঘটনাতে ওয়ারিসের প্রাণ গেছে। ঘটনার প্রয়োজনীয় প্রমাণ আছে। মৃতের শরীরে মারধরের কোনও দাগ নেই। মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে বজরং দলের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমের দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মৃতের বন্ধু শামিম জানিয়েছেন, ওয়ারিশ একজন গাড়ির মেকানিক ছিলেন। গরু ব্যবসার সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই।
এদিন এক গ্রাহকের গাড়ি মেরামতের জন্য ওয়ারিশ তাঁর দুই সহকর্মী নাফিস ও শওকিন এর সঙ্গে ভিওয়াদি নামক এক জায়গায় যাচ্ছিল। সেই সময় মনু মনেশর নামক এক স্বঘোষিত গোরক্ষক তাঁদের রাস্তা ঘিরে ধরে। এবং তাঁদের গরু পাচারকারী বলে কটূক্তি করতে শুরু করে। নাফিস ও শওকিন ঘটনাস্থল থেকে পালানোর চেষ্টা করলেও কোনও লাভ হয়নি। তারপর শুরু হয় মারধর। সমস্ত ঘটনা পুলিশের সামনে ঘটেছে।
এদিন তিনি আরও বলেন, গো-রক্ষার নাম করে বজরং দলের সদস্যরা মুসলিম এলাকা গুলিতে রীতিমতো গুণ্ডামি শুরু করেছে। আমি এই ঘটনার বিরুদ্ধে অনেকবার আওয়াজ তুলেছি, কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। পুলিশ নির্বিচারে বজরং দলকে সমর্থন করে যাচ্ছেন। এমনকি ওয়ারিশের দুই বন্ধুকে গরু পাচার কাণ্ডে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।