স্কুল গাড়ির আর্জি জানিয়ে বিধায়ক’কে চিঠি, ১৪ দিন পর পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু ওই পড়ুয়ার

- আপডেট : ২ জানুয়ারী ২০২৩, সোমবার
- / 14
পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ স্কুলে যাওয়ার গাড়ি নেই, স্কুলে যেতে হয় অনেকখানি রাস্তা পায়ে হেঁটে। এমনকি গ্রামে যান চলাচলের নেই কোনও বাড়তি সুবিধা। তাই বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যেতে হয় স্কুলে। দু’সপ্তাহ আগে এই সমস্যার কথা জানিয়েই স্থানীয় বিধায়কের দ্বারস্থ হয়েছিল গ্রামের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্র। এই ঘটনার ১৪ দিন পর ওই পড়ুয়ার দেহ পড়ে থাকতে দেখা গেল গ্রাম থেকে স্কুলে যাওয়ার বড় রাস্তায়। ওই পড়ুয়ার মৃত্যুতে রীতিমত শোকের ছায়া নেমেছে স্থানীয় এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, স্কুলে যাওয়ার জন্য স্কুল গাড়ির আবেদন জানিয়ে ১৪ দিন আগে স্থানীয় বিধায়কের কাছে চিঠি পাঠিয়েছিল ওই পড়ুয়া। এদিন স্কুলে যাওয়ার জন্য রাস্তা পারাপার করতে গিয়েই একটি গাড়ি পিষে দিয়ে চলে গিয়েছে ১৪ বছরের ওই কিশোরকে। মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের বেলাগাভী জেলায়। মৃত্যুতে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা বিধায়কের বিরুদ্ধে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন।
সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তারা জানিয়েছেন, ছেলে-মেয়েদের জীবনের ঝুঁকির কথা জানিয়ে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে গ্রামের পথে যান চলাচলের সুবিধা করে দেওয়ার জন্য দাবি জানিয়ে জানিয়ে আসছেন তারা। তবুও এই বিষয়ে কর্ণপাত করে নি তারা। এমনকি নিহত ওই পড়ুয়া স্থানীয় বিধায়ককে এ ব্যাপারে চিঠি দিলেও তিনি সেই চিঠির জবাব দেননি। তাই ওই পড়ুয়ার মৃত্যুতে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন গ্রামবাসীরা। সড়কপথ অবরোধ করে প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তারা।
কর্নাটকের ওই গ্রামটির নাম শিবানূর। গত রবিবার সেই গ্রামের কিশোর আক্কাভা হুলিকাট্টির গাড়ি চাপা পড়ে মৃত্যু হয়। দু’সপ্তাহ আগে বিধায়ক স্থানীয় দোড্ডাগৌড়ার মহন্তেশকে চিঠি দিয়ে আক্কাভা লিখেছিলেন, গ্রামের ছাত্রদের স্কুলে যাওয়ার সুবিধার্থে যেন তিনি গ্রামের রাস্তায় গাড়ি চলাচলের বন্দোবস্ত করেন। তাহলে আমরা খুব উপকৃত হতাম।