Fri, September 20, 2024

ই-পেপার দেখুন

'নেতিবাচক রাজনীতি হচ্ছে,' 'সংবিধান হত্যা দিবস' নিয়ে কেন্দ্রের সমালোচনায় প্রিয়াঙ্কা

Bipasha Chakraborty

Published: 13 July, 2024, 08:21 PM
'নেতিবাচক রাজনীতি হচ্ছে,' 'সংবিধান হত্যা দিবস' নিয়ে কেন্দ্রের সমালোচনায় প্রিয়াঙ্কা

 

নয়াদিল্লি, ১৩ মার্চ: ২৫ জুন সংবিধান হত্যা দিবস পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধি। তিনি বলেন, এক ধরনের নেতিবাচক রাজনীতি করা হচ্ছে। এক্স হ্যান্ডেলে প্রিয়াঙ্কা বলেন, 'বিজেপির এই নেতিবাচক রাজনীতির জন্যেই দেশের মানুষ আজ তাদের বর্জন করেছে। ভারতের মানুষ দেশকে স্বাধীন করার জন্য ঐতিহাসিক লড়াই লড়ে ছিল। দেশের সংবিধান তাই সকলের কাছে শ্রদ্ধার। যারা সংবিধান রচনা করেছিলেন তাঁদের কথা মনে রেখে এর উপর সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা রাখতে হবে। আর যারা সংবিধানকে মানে না তাঁরাই সংবিধান হত্যা দিবস পালন করবে। এটা এক ধরনের নেতিবাচক রাজনীতি। এতে অবাক হওয়ার কিছুই নেই।'

শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে ঘোষণা করেন, '২৫ জুন তারিখটিতে এবার থেকে প্রতিবছর পালিত হবে সংবিধান হত্যা দিবস। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধির একনায়কতন্ত্রের মানসিকতা গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করেছিলেন। লক্ষ লক্ষ মানুষকে জেলে পাঠানো হয়েছিল,যাদের নিজেদের কোনও দোষ ছিল না।' অমিত শাহের বক্তব্যের পরেই সরব হলেন প্রিয়াঙ্কা। 

প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালে ২৫ জুন জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধি। বিজেপি সরকার একাধিকবার সেই জরুরি অবস্থা নিয়ে কংগ্রেসকে বিঁধেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে একাধিক সভায় জরুরি অবস্থার সময়কে সামনে রেখে কংগ্রেসকে তুলোধনা করতে দেখা গেছে। লোকসভা ভোটে বিজেপির ভরাডুবির পর এনডিএ নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রীর পদে বসেছেন মোদি। তার পরেই কেন্দ্র জানিয়েছে, ইমারজেন্সির দিনটিকে তাঁরা সংবিধান হত্যা দিবস হিসাবে পালন করবে। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই দিনটিকে ভারতের ইতিহাসের অন্ধকারময় দিন হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় আগেই সরব হতে দেখা গেছে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে। তিনি বলেন, 'বিগত ১০ বছর ধরে বিজেপি সংবিধানকে হত্যা করে আসছে। তাই আর নতুন করে সংবিধান হত্যা দিবস পালন করার আর দরকার নেই। আপনারা প্রতি মুহূর্তে দেশের প্রতিটি গরিব ও বঞ্চিত মানুষের আত্মসম্মান কেড়ে নিয়েছেন।'

পাশাপাশি কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন আদমি পার্টির নেত্রী প্রিয়াঙ্কা কক্কর থেকে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ। 

Leave a comment