Sun, September 29, 2024

ই-পেপার দেখুন

কিডনি পাচার চক্রের হদিশ, দিল্লির এক মহিলা চিকিৎসক সহ গ্রেফতার ৭

Bipasha Chakraborty

Published: 09 July, 2024, 08:24 PM
কিডনি পাচার চক্রের হদিশ, দিল্লির এক মহিলা চিকিৎসক সহ গ্রেফতার ৭


নয়াদিল্লি, ৯ জুলাই: কিডনি পাচার চক্রের বড়সড় র্যা কেটের হদিশ পেল দিল্লি পুলিশ। দিল্লি এনসিআর থেকে বাংলাদেশের মধ্যে এই পাচার চক্র কাজ করছিল। ঘটনায় দিল্লির এক মহিলা চিকিৎসক সহ সাতজনকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্র্যাঞ্চ। ওই মহিলা চিকিৎসক দক্ষিণ দিল্লির ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত। কিডনি প্রতিস্থাপন সার্জন হিসেবে নিযুক্ত তিনি। ২০২১-২০২৩ সাল পর্যন্ত নয়ডাভিত্তিক ইয়াথার্থ হাসপাতালে তিনি প্রায় ১৫-১৬টি কিডনি প্রতিস্থাপন করেছেন। এই অস্ত্রোপচারের সঙ্গে এই পাচার চক্রের যোগ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অভিযুক্ত চিকিৎসকের নাম ড. বিজয়া কুমারী। বর্তমানে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ড. কুমারীর সহকারি বিক্রম সহ তিনজন বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বেশকিছু ভুয়ো নথি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। যেগুলো দিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশনের নাম ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছিল। 
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই চক্রটি বাংলাদেশের রোগীদেরকে মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে প্রতারণা চালাত। দিল্লি ও আশেপাশের মধ্যে থাকা বড় বড় হাসপাতালগুলিতে কিডনি সাপ্লাই করত চক্রটি। এই চক্রের অন্যতম চক্রী হিসেবে বাংলাদেশ থেকে আসা রাসেল (২৯), মুহাম্মদ সুমন মিয়ান এবং ইফতি নামের ব্যক্তি জড়িত। ত্রিপুরাভিত্তিক রতিশ পালও এই চক্রের সদস্য। তারা বাংলাদেশ থেকে কিডনি দাতাদের প্রতারণা করে দিল্লিতে নিয়ে আসত এবং প্রতিস্থাপন করার জন্য তাদের ৪-৫ লক্ষ টাকা দিত। কিডনি গ্রহীতাদের কাছ থেকে আদায় করা হত ২৫-৩০ লক্ষ টাকা। এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত অপর এক সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভুক্তভোগীদের চিকিৎসার রেকর্ডে বাংলাদেশ হাইকমিশনের ভুয়ো নথিপত্র পাওয়া গেছে। গোটা চক্রটি পরিচালনা করা হচ্ছিল বাংলাদেশ থেকে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোগীদের ব্ল্যাকমেল করে কিডনি দেওয়ার জন্য বাধ্য করা হত।

 


ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হাসপাতালের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ড. কুমারীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। পুলিশ যা তথ্য চেয়েছিল, সব কিছু সরবরাহ করা হয়েছিল। 

পুলিশ জানিয়েছে, খুব সুচতুরভাবে কাজ করত এই চক্রটি। দাতাদের প্রথমে দিল্লিতে এনে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া করে রাখা হত। ফ্ল্যাট থেকে ৯টি পাসপোর্ট, দুটি ডায়েরি এবং একটি রেজিস্টার উদ্ধার করা হয়েছে। এই রেজিস্টারে দাতা ও গ্রহীতাদের আর্থিক লেনদেনের বিবরণ রয়েছে সেখানে। আর কোথায় কোথায় এই কিডনি পাচার চক্রের জাল বিস্তার রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। 

Leave a comment