পাটনা, ৫ জুলাই: বিহার জেনো থামছেই না সেতু বিপর্যয়। গত দু'সপ্তাহে বিজেপি শাসিত রাজ্যে ভেঙে পড়েছে ১০টি সেতু। বিহারের সারান শহরে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুটি সেতু ভেঙে পড়ার খবর মিলেছে। সেতু বিপর্যয় ঠেকাতে কড়া পদক্ষেপ নিল ডবল ইঞ্জিন সরকার। জলসম্পদ বিভাগের ১৬ জন ইঞ্জিনিয়ারকে সাসপেন্ড করল নীতীশ সরকার। বিহার উন্নয়ন সচিব চৈতন্যপ্রসাদ সাংবাদিকদের বলেন, রাজ্য সরকার বিষয়টি নিয়ে সিরিয়াস। সেতু নির্মাণের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারদের খুঁজে বের করে তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে।
উল্লেখ্য, গতকাল বিহারের সারন জেলার গণ্ডকী নদীর উপর ১৫ বছরের পুরনো একটি সেতু ধসে পড়ে। যদিও ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। সেতুটি সারনের বেশ কয়েকটি গ্রামকে সিওয়ান জেলার সাথে সংযুক্ত করেছিল। সারনের জেলাশাসক আমন সমীর জানিয়েছেন, "জেলায় এই ছোট সেতুগুলি ভেঙে পড়ার কারণ জানতে উচ্চ পর্যায়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।" তিনি আরও জানান, ছোট সেতুটি ১৫ বছর আগে নির্মাণ করা হয়। তিনি ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন এবং জেলা প্রশাসনের আরও কয়েকজন কর্মকর্তা ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন।
ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মারকে শুভেচ্ছা জানালেন মোদি
সতর্ক করেও পদক্ষেপ হয়নি, কেরলে ভূমিধস নিয়ে বিজয়ন সরকারকে বিঁধলেন শাহ
মোদি-ইউনূস বৈঠক নিয়ে জল্পনা
প্রশাসন জানিয়েছে, গত বুধবার সারন জেলায় দুটি ছোট সেতু ভেঙে পড়েছে। একটি জনতা বাজারে এবং অন্যটি লাহলাদপুরে। এই ধারাবাহিক ঘটনাগুলি রাজ্যের পুরানো সেতুগুলির কাঠামোগত অখণ্ডতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। তবে ধসের সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে মনে করা হচ্ছে, সাম্প্রতিক পলি অপসারণের কাজ এবং এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ঘটনা ঘটতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত দু'সপ্তাহে সিওয়ান, মধুবনী, আরারিয়া, পূর্ব চম্পারণ এবং কিষাণগঞ্জ সহ অন্যান্য জেলাতে সেতু ভেঙে পড়েছে। গত ১৬ দিনে সবমিলিয়ে ১০টি সেতু বিপর্যয় ঘটেছে। এদিকে, লাগাতার সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় বুধবার একটি পর্যালোচনা বৈঠক করেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এদিনের বৈঠকে উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সমস্ত পুরানো সেতুর সমীক্ষা করার নির্দেশ দেন তিনি। পাশাপাশি যে সমস্ত সেতুগুলির মেরামত প্রয়োজন সেগুলি চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
অন্যদিকে, সেতু বিপর্যয় নিয়ে ডবল ইঞ্জিন সরকারকে তুলোধোনা করেছেন বিহারের রাষ্ট্রীয় জনতা দলের নেতা তেজস্বী যাদব। তাঁর অভিযোগ, ১৮ জুন থেকে বিহারে ১২টি সেতু ভেঙে পড়েছে। পাশাপাশি নীতীশ সরকারকে কটাক্ষ করে তেজস্বী বলেছেন, "প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার দু'জনেই বিহারের এই ঘটনা নিয়ে নীরব। সুশাসন ও দুর্নীতিমুক্ত সরকারের দাবির কী হলো? এই ঘটনাগুলি প্রমাণ করছে রাজ্য সরকারের প্রতিটি বিভাগে দুর্নীতি কতটা প্রকট।"