গান্ধিনগর, ৩০ জুন: গুজরাতের কংগ্রেস নেতা শক্তিসেল গোহিনের প্রশ্ন ছিল পেপার লিকে এত স্পষ্ট প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও গোধরার জয় জালারাম স্কুলের চেয়ারম্যানকে ছেড়ে রাখা হয়েছে কেন? নিট দুর্নীতির ল্যাবরেটরি এই স্কুল । এখান থেকেই ব্লাঙ্কচেক পাওয়া গেল। এই স্কুলেই ভিনরাজ্যের পরীক্ষার্থীদের আসন বরাদ্দের জন্য পরামর্শ দেওয়া হল, এখানেই পরীক্ষার অনেক আগে প্রশ্নপত্রের বাক্স খোলা হল তবুও স্কুলের চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করা হয়নি।
বিজেপির সঙ্গে বোঝাপড়া রয়েছে বলে সাংবাদিক বৈঠকে অভিযোগ তুললেন এই কংগ্রেস নেতা। আর শনিবার সন্ধ্যায় সিবিআই গ্রেফতার করে চেয়ারম্যান দীক্ষিত প্যাটেলকে। এই নিয়ে গুজরাত থেকে নিট দুর্নীতিতে গ্রেফতার হল ছ’জন। সাংবাদিক বৈঠক করে গুজরাতের কংগ্রেস নেতা জানায়, জয় জালারাম স্কুলের এক শিক্ষক তুষার ভাটকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জরুরি অবস্থা জারি 'সংবিধানের শ্বাসরোধের' সামিল: কংগ্রেসকে বিঁধলেন যোগী আদিত্যনাথ
গুজরাতে চালু দেশীয় পরমাণু রিঅ্যাক্টর
হাসপাতালের লিফটে ৪২ ঘণ্টা আটকে রোগী, দু'দিন পর সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার
স্কুলের প্রিন্সিপাল পুরুষোত্তম মহাবীর প্রসাদকে গ্রেফতার করা হয়েছে কিন্তু আসল পাণ্ডাদের সন্ধান পাচ্ছে না তদন্তকারীরা। তিনি প্রশ্ন করেন চারা মাছদের ধরে রাঘব বোয়ালদের ছেড়ে রাখা হয়েছে কেন? এই কংগ্রেস নেতা সাংবাদিক বৈঠকে প্রশ্ন করেন নিট মামলায় প্রধানমন্ত্রী এখনও চুপ রয়েছেন কেন? সব জানা সত্ত্বেও শিক্ষা মন্ত্রী কোর্টে এনটিএকে ক্লিনচিট দিলেন কেন? ইতিপূর্বে দুর্নীতির অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও এই স্কুলে সেন্টার কেন বানানো হল? বিজেপির ফান্ডে এই স্কুল কত চাঁদা দিয়েছে?
উল্লেখ্য, নিট দুর্নীতির মামলা সামনে আসায় জানতে পারা যায় গুজরাতের স্কুলে আসন বরাদ্দ করার এবং জন্য নিটে পাস করিয়ে দেওয়ার জন্য এজেন্টদের পক্ষ থেকে অগ্রিম টাকা নেওয়া হয়। প্রত্যেকের কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা করে নেওয়ার কথা এবং অনেক পরীক্ষার্থী অগ্রিম টাকাও দিয়ে দিয়েছিল। আড়াই কোটি টাকা লেনদেনের খবর রয়েছে।
ওড়িশা, মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড, কর্ণাটক সহ বিভিন্ন রাজ্যের পরীক্ষার্থীদের এই কেন্দ্রে আসন নেওয়ার জন্য নিট সলভার গ্রুপের পক্ষ থেকে বলা হয়। অভিযোগ উঠেছে পরীক্ষা শুরুর অনেক আগে বাক্স খোলা হয়েছিল। উত্তর লিখে দেওয়া হয় অগ্রিম টাকা দেওয়া পরীক্ষার্থীদের। ছাত্রদের অভিভাবকরা এই সত্য স্বীকার করেছে। খালি চেক দেওয়া অভিভাবকদের কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গুজরাত পুলিশের হেফাজতে রয়েছে তারা এখন সিবিআই এর হাতে তাদের তুলে দেওয়া হচ্ছে। দীক্ষিত প্যাটেলকে গ্রেফতার করার পর আরও চাপ বাড়ল বিজেপির ওপর।
অপরদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন রাম মাঝি জানান বিহার সরকার খুবই সক্রিয় রয়েছে। তদন্ত চলছে। আশা করি কেন্দ্র কাউকে রেহাত করবে না। ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা যেন না হয় সেদিকে অবশ্যই নজর দেবে সরকার। অবশ্য বিহার থেকে এমন দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে যারা ২৫ জন ছেলেকে নিট-এ বেশি নাম্বার পাইয়ে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়ে ছিল। সিবিআই পাটনার বেউর জেলে গিয়ে বেশ কয়েকজন গ্রেফতার হওয়া ছাত্রর সঙ্গে কথা বলেছে।