পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ প্রায় এক বছর যাবৎ অশান্ত মনিপুর। হিংসাত্মক ঘটনা, নারী নির্যাতনের বীভৎসতায় আঁতকে উঠেছে সমগ্র দেশ। প্রতিবাদে সরব হয়েছে একযোগে বিরোধী সব রাজনৈতিক দলগুলিও। এই সংঘর্ষে গৃহহীন হয়েছে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ। নিহত প্রায় ২২০। তবে সংঘর্ষের পর থেকে একবারের জন্যেও মনিপুরমুখো হন নি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সরকার হোক বা পুলিশ, সেনা বা আধাসেনা, কেউ জানে না, সংঘাতের শেষ কোথায়! এরই মধ্যে রাজ্যে অনুষ্ঠিত হয় লোকসভা ভোট। ফল প্রকাশিত হতেই দেখা যায় মনিপুরের দুই আসনেই জয়ী কংগ্রেস।
Breaking: জামিন পেলেন কেজরিওয়াল
ভারতে কমছে শিশু জন্মের হার, আগামীদিনে ঝুঁকির মুখোমুখি হতে পারে দেশ
নয়া বিদেশ সচিব হলেন দোভালের ডেপুটি বিক্রম মিসরি
অষ্টাদশ লোকসভার সাংসদদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উঠল স্লোগান উঠল- মনিপুরকে ন্যায় বিচার দিন, ভারতকে বাঁচান। পূর্বতন লোকসভায় বিরোধী সাংসদদের মনিপুর নিয়ে বলতে দেওয়া হয়নি। এবার যেন জনতার সেই কণ্ঠস্বর পার্লামেন্টের অভ্যন্তরে পৌঁছে দিল।
মঙ্গলবার মনিপুরের দুই সাংসদ শপথবাক্য পাঠ করতে উঠলে মণিপুর মণিপুর স্লোগান দিতে থাকে বিরোধী বেঞ্চ। নিজের আসন ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে তাঁদের সম্মান প্রদর্শন করেন রাহুল গান্ধি। শপথগ্রহণের জন্য আউটার মণিপুরের সাংসদ অ্যালফ্রেড কান্নগাম আর্থারের নাম ঘোষণা হতেই বিরোধী বেঞ্চ থেকে মণিপুর মণিপুর স্লোগান দেওয়া হয়। তিনি শপথ নেওয়ার পর বলেন, "মণিপুরকে ন্যায় দিন, দেশ বাঁচান।" ইনার মণিপুরের সাংসদ আনগোমচা বিমল আকোইজাম শপথ নিতে উঠলে মণিপুরের ন্যায় চাই, ন্যায় চাই স্লোগান ওঠে। তবে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ, স্লোগান সভার রেকর্ড থেকে মুছে দেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রোটেম স্পিকার ভর্তহরি মেহতাব।