পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদিই প্রথম যিনি ইউক্রেন সফরে এসেছেন। ইউক্রেনের মাটিতে পা রেখে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির পিঠে হাত রেখে তাকে জড়িয়ে ধরলেন মোদি। শুধু মাত্র ছয় সপ্তাহের ব্যবধান। রাশিয়া সফরে গিয়ে রুশ প্রধানমন্ত্রী পুতিনকে একইভাবে আলিঙ্গন করতে দেখা গিয়েছিল মোদিকে। তবে সেই সময় মোদিকে সমালোচনা করতে ছাড়েননি জেলেনস্কি। এবার সেই জেলেনস্কির পিঠেই 'বড় দাদা'র ভরসার হাত রাখলেন মোদি।
ইউক্রেনে মোদিকে স্বাগত জানিয়ে তাঁর সঙ্গে করমর্দন করে তাকে জড়িয়ে ধরেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এদিন মার্টিরোজজিস্ট এক্সপোজিশনে জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করেন তিনি। এর পর দুই নেতা ইউক্রেনের জাদুঘর পরিদর্শন করেন, যেখানে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধে নিহত শিশুদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তাঁরা। সেই সময় জেলেনস্কিকে আবেগঘন হতে দেখা যায়।
গ্রেফতারি এড়াতে দুবাই পালিয়ে গেছে পূজা খেদকার?
চিকিৎসার জন্য তিনঘণ্টা অপেক্ষা, মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন হাসপাতালের সাফাইকর্মী
নিয়ম ভেঙে স্ট্রংরুমে প্রবেশ, সিসিটিভি ফুটেজ সামনে আসতেই কারচুপির অভিযোগে শোরগোল
ভারত ও ইউক্রেনের মধ্যে একটি সম্পর্ক নিঃসন্দেহে কূটনৈতিক আঙিনায় একটি প্রতীকী ঘটনা। ইউক্রেনে পা রাখার আগে, তার প্রতিবেশী ইউরোপীয় দেশ পোল্যান্ডে গিয়েছিলেন মোদি। সেখান থেকে তিনি স্পষ্ট বার্তা দেন, ইউক্রেনে শান্তি ফেরাতে বন্ধুদেশগুলির সঙ্গে যাবতীয় সম্ভাব্য সহায়তা করতে প্রস্তুত ভারত। এর আগে রাশিয়া গিয়েও মোদি যুদ্ধ বিরোধিতার বার্তা দিয়েছিলেন। ইউক্রেন সফরকে সামনে রেখে মোদি বলেছিলেন, যুদ্ধের ময়দানে কোনও সমস্যার সমাধান করা যায় না। যত দ্রুত সম্ভব শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফেরাতে ভারত সংলাপ ও কূটনীতিকে সমর্থন করবে।
ইউক্রেনের অনেকেই মোদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠজন বলে মনে করেন। ফলে মোদি একজন মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কতটুকু কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবেন, সেটিও স্পষ্ট নয়।