Sat, September 28, 2024

ই-পেপার দেখুন

ফয়জান হত্যা রহস্যে সিবিআই তদন্তের আবেদন জানিয়ে মমতাকে চিঠি হিমন্তের

Bipasha Chakraborty

Published: 18 June, 2024, 06:40 PM
ফয়জান হত্যা রহস্যে সিবিআই তদন্তের আবেদন জানিয়ে মমতাকে চিঠি হিমন্তের

 

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ  খড়গপুর আইআইটি পড়ুয়া ফয়জান আহমেদের মৃত্যু রহস্যের কিনারা করতে এবার অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা সিবিআই তদন্তের আবেদন জানিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখলেন। 

১৭ জুন লেখা ওই চিঠিতে আগের চিঠির ধারাবাহিকতা উল্লেখ করে হিমন্ত লেখেন, ২০২২ সালের ১৪ অক্টোবর অসমের তিনসুকিয়ার বাসিন্দা ফয়জান আহমেদের নিথর দেহ উদ্ধার হয়, তাঁর হোস্টেলের ঘর থেকে। কলেজ কর্তৃপক্ষ এই মৃত্যুকে আত্মহত্যা ঘটনা বলে দাবি করলেও মৃতের বাবা মা ছেলের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান বলে দাবি করেন। এর ফলে মৃত পড়ুয়া অভিভাবক তাঁদের সন্তানকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন। আমি প্রতিভাবান এই তরুণ ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের জন্য আপনাকে অনুরোধ করেছি। 

পাশাপাশি হিমন্ত লেখেন, সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে মৃত ফয়জানের দ্বিতীয় ময়নাতদন্তে রিপোর্ট থেকে জানা গেছে তাঁর ঘাড়ের উপরে বাম পাশে একটি গুলির চিহ্ন এবং ঘাড়ের ডান পাশে ছুরিকাঘাতের ক্ষত ছিল। 

অসমের মুখ্যমন্ত্রী চিঠিতে জানান, দ্বিতীয় এই ফরেনসিক রিপোর্ট থেকে যে তথ্য জানা যাচ্ছে তা  ভয়াবহ। এই ঘটনায় যুক্ত অপরাধীদের পাশাপাশি অপরাধ গোপনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদেরও চিহ্নিত করা হোক। যাতে সন্তানহারা মা বাবা ন্যায় বিচার পায় তা সুনিশ্চিত করা হোক। 

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুরোধ করে হিমন্তর আবেদন, আমি আপনাকে অনুরোধ করছি ঘটনার সুষ্ঠু এবং স্বচ্ছ তদন্তের স্বার্থে মমলাটি সিবিআইকে হস্তান্তরিত করা হোক। 

উল্লেখ্য, ২০২২ সালেই ফয়জানের মা প্রশ্ন তুলেছিলেন, তাঁর ছেলের লাশ কয়েকদিন পরে কেন পাওয়া গেল? সে তো হোস্টেলে ছিল। হোস্টেল সুপার বা অন্য কর্তৃপক্ষরা কেন তার খোঁজ করল না? তিনি বলেন, তাঁর ছেলে যে হোস্টেলের ঘরে থাকত, সেখানে তার সমস্ত কিছু রয়েছে। অথচ তার ছেলের লাশ উদ্ধার হয় অন্য একটি নির্জন হোস্টেল থেকে। তখন এ নিয়ে কর্তৃপক্ষ বা পুলিশ কোনও মন্তব্য করেনি। 
উজানী অসমের তিন সুকিয়ার বাসিন্দা ফয়জান এলাকায় মেধাবী ছাত্র হিসাবেই পরিচিত ছিল। শুধু তাই নয় প্রতিভাবান ছাত্র হিসাবে তিনি পুরস্কৃতও হয়েছিলেন। ফয়জানের মা রেহেনা আহমেদ 'পুবের কলমল'কে জানিয়েছিলেন, বড় আশা করে ছেলেকে তাঁরা খড়গপুর আইআইটিতে ভর্তি করিয়েছিলেন। এই খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানে সুযোগ পাওয়ায় তাদের আনন্দের সীমা ছিল না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যা হল, তা আপনাদের সামনে রয়েছে। 

দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর প্রশ্ন উঠেছে কে বা কারা এবং কেন ফয়জানকে এত নির্মম ভাবে হত্যা করল? কেন এই নৃশংস খুনকে আড়াল করতে খড়গপুর পুলিশ প্রশাসন, আইআইটি কর্তৃপক্ষ এবং প্রথম ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকরা একজোট হলেন? কেন সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশ মেনে 
প্রথম ময়নাতদন্তের সময় ভিডিওগ্রাফি করা হল না?

Leave a comment