গত ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে লোকসভা নির্বাচন। আগামী ১ জুন সপ্তম দফা, অর্থাৎ শেষ দফা সম্পন্ন হবে। সেই ১ জুনেই ভোট হবে সাঁওতাল পরগনা সংলগ্ন ঝাড়খণ্ডে। ভোটগ্রহণ হবে গোড্ডা, দুমকা, রাজমহলে। গোড্ডা লোকসভার বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবের সঙ্গে লড়াই হবে কংগ্রেসের প্রদীপ যাদবের। দুমকা জেএমএম পিতৃপুরুষ শিবু সোরেনের বড় পুত্রবধূ সীতা সোরেন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। জেএমএমের প্রবীণ বিধায়ক নলিন সোরেনের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন সীতা সোরেন। রাজমহল আসনে বিজেপির তালা মারান্ডির বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দেখা যাবে দুই মেয়াদের দলীয় সাংসদ বিজয় হাঁসডাককে।
জামতারায় একটি বিশাল মুসলিম জনসংখ্যা রয়েছে। সেই বিধানসভায় সীতা সোরেনের হয়ে প্রচারচলাকালীন মোদিই দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার উপযুক্ত বলে দাবি তুললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ।
চম্পাই সোরেনের পিছনে গোয়েন্দা নজরদারি, অভিযোগ বিজেপির
বদলির খবর ভুয়ো, বরখাস্ত রয়েছেন কুলবিন্দর কৌর
জেলেই অসুস্থ আশারাম বাপু, ভর্তি এইমস হাসপাতালে
আদিবাসী অধ্যুষিত উপজাতির ভাবমূর্তিতে সুড়সুড়ি দিয়ে শাহ বলেন, খুন্তিতে শ্রদ্ধেয় উপজাতীয় আইকন বিরসা মুণ্ডার কুঁড়েঘরে গিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। কংগ্রেসকে আক্রমণ করে বলেন, গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি ঝাড়খণ্ডকে "দুর্নীতির এটিএম" হিসাবে দেখে। কংগ্রেস এবং হেমন্ত সোরেনের জেএমএম রাজ্যে দুর্নীতি নিয়ে একে অপরের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছে। কংগ্রেসের জন্য ঝাড়খন্ড হল তার ভোট ব্যাংক, সম্পত্তি, জমির ব্যাংক এবং দুর্নীতির এটিএম। হেমন্ত সোরেন সহ দুর্নীতিবাজ জেএমএম নেতারা কংগ্রেসের কোলে বসে আছে। অমিত শাহ দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি শুধু নকশালদের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করেননি, যার মধ্যে ঝাড়খণ্ডের বুধা পাহাড়ের লাল বিদ্রোহীরাও রয়েছে এবং "আদিবাসীদের প্রতি ন্যায়বিচার" করেছেন। সোনিয়া-মনমোহন শাসনামলে আদিবাসীদের জন্য বাজেট ছিল মাত্র ২৫ হাজার কোটি। প্রধানমন্ত্রী ১০ বছরে এটিকে ১.২৫ লক্ষ কোটি টাকায় নিয়ে গেছেন। দেওঘরে একটি সমাবেশ থেকে বিরোধী ভারত ব্লককে তীব্র আক্রমণ করে শাহ বলেন, 'নেতা, নীতি, উদ্দেশ্য' নেই, তাই একমাত্র মোদিই দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার উপযুক্ত। ভারত ব্লকের নেতারা বংশবাদী রাজনীতির পক্ষে।শাহের দাবি, লালুপ্রসাদ চান তাঁর ছেলে মুখ্যমন্ত্রী হোক, উদ্ধব ঠাকরে চান তাঁর ছেলে মুখ্যমন্ত্রী হোক, শরদ পাওয়ার চান তাঁর মেয়েকে মুখ্যমন্ত্রী করা হোক, মমতা দিদি চান তাঁর ভাগ্নে মুখ্যমন্ত্রী হোক, স্ট্যালিন চান তাঁর ছেলেকে মুখ্যমন্ত্রীর পদে চান, সোনিয়া গান্ধি তার ছেলে রাহুল গান্ধিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাইছেন'। অন্যদিকে খাড়গে গোড্ডা লোকসভার দেওঘরে প্রচার চালানোর সময় বলেন, মোদি সরকার ব্রিটিশদের মতো গত ১০ বছরের দেশের জল, বন, ভূমি সম্পদ লুট করে দেশকে ধর্মীয় ভিত্তিতে ভাগ করছেন। মোদি তার নির্বাচিত কোটিপতি বন্ধুদের হাতে দেশের সম্পদ তুলে দিয়েছেন। আমরা ব্রিটিশদের মোকাবিলা করেছি, বিজেপিকে ভয় পাই না।'