নয়াদিল্লি, ৫ অগাস্ট: অসহযোগ আন্দোলনকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। দিনভর দফায় দফায় সংঘর্ষে একাধিক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। রবিবারেই ৯৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। এই পরিস্থিতিতে এবার ভারতীয়দের সতর্ক করল বিদেশমন্ত্রক। উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রেও নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। আপাতত ভারতীয়দের বাংলাদেশে না যাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে এই মুহূর্তে যে সব ভারতীয় নাগরিক রয়েছেন, তাঁদের খুব সাবধানে থাকতে বলা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বেরোতে সর্তকবার্তা দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় নাগিরকদের সাহায্যের জন্য ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনের তরফে হেল্পলাইন নম্বরও চালু করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, রবিবার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ডাকা সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন ঘিরে ব্যাপক সংঘর্ষ হয় বিভিন্ন জায়গায়। নতুন করে সংঘর্ষ অন্তত ৯৮ জন নিহত হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ফের বাংলাদেশে কার্ফু জারি করা হয়। অন্যদিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মোবাইল ইন্টারনেট। ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রাম বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
ঘিয়ের পরিবর্তে তিরুমালার লাড্ডুতে পশুর চর্বি! চন্দ্রবাবু নাইডুর মারাত্মক অভিযোগ ঘিরে বিতর্ক
তৃতীয় মোদি সরকারের প্রথম বাজেট চলতি মাসেই
বুরারি কাণ্ডের ছায়া মহারাষ্ট্রে, একই পরিবারের ৪ জনের পচাগলা দেহ উদ্ধার
সূত্রের খবর, রবিবার একাধিক সরকারি অফিসে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। একপর্যায়ে পুলিশকে পিছু হটতে হয়। তখন আন্দোলনকারীরা থানার গেট ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়। পরে থানার মধ্যে থেকে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। ঘটনায় ১২ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দু'জনের মৃত্যু হয়। বাকিরা বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এছাড়াও বগুড়ার সাতমাথায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ রণক্ষেত্র হয় পুরো শহর৷ বিটিসিএল, জেলা আওয়ামী লীগ, ছাত্র ইউনিয়ন কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয়েছে মুজিব মঞ্চ, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল।