Fri, September 20, 2024

ই-পেপার দেখুন

প্রথম সম্মেলনে জনসংযোগে জোর, রাজ্যপালদের সোশ্যালে সক্রিয় হওয়ার আহবান

আবুল খায়ের

Published: 03 August, 2024, 12:22 PM
প্রথম সম্মেলনে জনসংযোগে জোর, রাজ্যপালদের সোশ্যালে সক্রিয় হওয়ার আহবান

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যে শাসক প্রধান সাংবিধানিক প্রধানের দ্বন্দ্ব নিত্য ঘটনায় পর্যবসিত হয়েছে। এই সংঘাতের ফলে প্রশাসনিক অচলাবস্থাও তৈরি হচ্ছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছাচ্ছে যে মাঝে মাঝে তা কলতলার ঝগড়াকেও হার মানাবে। যা গড়াচ্ছে আদালত পর্যন্ত। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে রাজ্যপালদের সম্মেলন। চলবে শনিবার পর্যন্ত। এই সম্মেলনে সভাপতিত্ব করছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।

রাষ্ট্রপতির সচিবালয় থেকে জারি করা একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি অনুসারে, সমস্ত রাজ্যের রাজ্যপালরা সম্মেলনে যোগ দেবেন। এছাড়াও উপস্থিত থাকবেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং প্রমুখ। এছাড়া
কৃষি ও কৃষক কল্যাণ; শিক্ষা; উপজাতি বিষয়ক; তথ্য ও সম্প্রচার; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন; এবং যুব বিষয়ক এবং ক্রীড়া; নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান এবং সিইও এবং পিএমও, ক্যাবিনেট সেক্রেটারিয়েট, এমএইচএ এবং অন্যান্য মন্ত্রকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

গভর্নরদের এই সম্মেলনের আলোচ্যসূচিতে নয়া তিন ফৌজদারি আইনের বাস্তবায়ন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে; উচ্চশিক্ষায় সংস্কার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি; উপজাতীয় এলাকা, সীমান্ত এলাকার উন্নয়ন; ‘আমার ভারত’, ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’ এবং ‘এক গাছ মা কে নাম’ এবং প্রাকৃতিক চাষের মতো প্রচারে রাজ্যপালদের ভূমিকা; জনসাধারণের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি; এবং রাজ্যের বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির মধ্যে আরও ভাল সমন্বয় স্থাপনে গভর্নরদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হবে।

এমন পরিস্থিতিতে কেন্দ্র তাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় আরও সক্রিয় হতে, জনগণের সঙ্গে আরও ভাল সংযোগ স্থাপন করতে এবং অবিলম্বে তাদের মতামত সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করার আহ্বান জানিয়েছেন। বিশেষ করে যখন মতের পার্থক্যের বিষয়টি সামনে আসে।

উল্লেখ্য,সেখানে অন্য রাজ্যের রাজ্যপালদের সঙ্গে উপস্থিত আছেন বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও। সূত্রের খবর, এই বৈঠকে রাজ্যপালদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘রাজ্যপালের পদ একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান’ এবং তাঁদের কাজ হলো ‘কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে সুষ্ঠু সমন্বয় সাধন করা’। সাম্প্রতিক বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্য বনাম রাজভবনের সংঘাতের কোনও দৃষ্টান্তের কথা উল্লেখ না-করে নমো যে ‘সমন্বয় সাধন’-এর বার্তা দিয়েছেন, তা ইঙ্গিতবাহী বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। কিন্তু হঠাৎ প্রধানমন্ত্রীর গলায় এই সমন্বয়-বার্তাই বা কেন, তা নিয়েও জল্পনা চলছে বিভিন্ন মহলে। কারণ, বাংলায় বোসের সঙ্গে রাজ্যের টানাপড়েন, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ‘শ্লীলতাহানি’র নালিশ সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত পৌঁছনো অথবা বিভিন্ন অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যে সেখানকার সরকারের সঙ্গে রাজভবনের সংঘাত-এই বিষয়গুলো তো প্রধানমন্ত্রীর অজানা থাকার কথা নয়। 

Leave a comment