নয়াদিল্লি, ৩১ জুলাই: কেরলে ভূমিধস নিয়ে এবার পিনারাই বিজয়ন সরকারকে তোপ দাগলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ওয়ানড়ের ভূমিধসে বহু মানুষের মৃত্যুতে কেরল সরকারের গাফিলতিকেই দায়ী করলেন তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, আগাম একাধিকবার সতর্ক করা সত্ত্বেও কেরল সরকার পদক্ষেপ করেনি। এমনকি দুর্ঘটনা কবলিত এলাকা থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিয়ে যায়নি। যে কারণেই এত মানুষের মৃত্যুর হয়েছে। বুধবার রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে অমিত শাহ বলেন, “গত ২৩ জুলাই অর্থাৎ দুর্ঘটনার এক সপ্তাহ আগে কেরল সরকারকে সতর্ক করেছিল কেন্দ্র। তার পর ২৪ এবং ২৫ জুলাই আরও দুটি সতর্কবার্তা দেওয়া হয়। গত ২৬ জুলাই আরও একবার প্রবল বৃষ্টিপাত এবং ভূমিধসের সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল। এমনকী এনডিআরএফের ৯টি দলও পাঠানো হয়েছিল কেরলে।” যদিও এই ইস্যুতে রাজনীতি করতে চান না বলেও সাফ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, “২০১৪ সাল থেকে আগাম সতর্কবার্তার বন্দোবস্ত করার জন্য ২০০০ কোটি টাকা খরচ করে কেন্দ্র। সেই মতো কেরল সরকারকে সতর্কও করা হয়েছিল। কিন্তু কেরল সরকার কোনও মানুষকেই নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যায়নি।”
এদিকে মঙ্গলবার থেকে কেরলের ওয়ানাডের মেপ্পাদির কাছে পাহাড়ি এলাকায় ব্যাপক ভূমিধস দেখা যায়। ভূমিধসে অন্তত ১৫৮ জনের মৃত্যুর হয়েছে বলে খবর। ২০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, ১৮০ জনেরও বেশি মানুষকে ধ্বংসাবশেষের নীচে আটকে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। একাধিক সংস্থা এবং সেনাবাহিনী লাগাতার উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে।
মোদি-ইউনূস বৈঠক নিয়ে জল্পনা
বিজেপির বিদ্বেষ প্রচারের বিরুদ্ধে সমাজকর্মীদের যৌথ বিবৃতি
উত্তরপ্রদেশে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল ছয় কোটির জলের ট্যাঙ্ক, দু'জনের মৃত্যু
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার প্রবল বৃষ্টির জেরে ওয়েনাডে তিনটি ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। এর ফলে মুন্ডাক্কাই, চুরামালা, আত্তামালা এবং নুলপুঝা গ্রামে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে৷ ছালিয়ার নদীতে ভেসে গেছে বেশ কয়েকজন। ওয়ানাডে ৪৫টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। এদিকে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন দু’দিনের শোক ঘোষণা করেছেন।
প্রশাসন সূত্রে খবর, সেনাবাহিনীর ইউনিট, এনডিআরএফ, এসডিআরএফ এবং অন্যান্য জরুরি পরিষেবার কর্মীরা দ্বিতীয় দিনে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। উদ্ধার অভিযানের জন্য মোট ২২৫ জন সেনা সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছে। ভারী বৃষ্টিতে জেলার চুরামালা এবং মুন্ডক্কাই গ্রামের সংযোগকারী একটি বড় সেতু ভেসে যাওয়ার পরে সেনাবাহিনী একটি অস্থায়ী কাঠামো ব্যবহার করে ১ হাজার জনেরও বেশি মানুষকে উদ্ধার করেছে। ইতিমধ্যে প্রশাসনের তরফে হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে।
এদিকে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ওয়ানাড এবং অন্যান্য কয়েকটি জেলায় আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ইদুক্কি, ত্রিশুর, পালাক্কাদ, মালাপ্পুরম, কোঝিকোড়, কান্নুর এবং কাসারগোড জেলায় ভারী বৃষ্টির জন্য লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে।