রিলসে বিরক্ত, স্বামীর নিষেধে রেগে বাড়ি ছেড়ে চলে গেলেন স্ত্রী
মোদিজীর সঙ্গে আমার দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা, তবে আমি তাঁকে ঘৃণা করি না: রাহুল
হাথরসে পদপিষ্ট: মৃতদের পরিবারকে আরও বেশি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি রাহুলের
পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: লাদাখ থেকে অরুণাচল প্রদেশ, সিকিম অথবা গলওয়ান উপত্যকা। চিনের সেনাবাহিনী বারবার ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে স্বমহিমায় জায়গা দখল করছে। সংঘাত হয়েছে। ফ্ল্যাগ-মিটিং হয়েছে। চিনা পণ্য বয়কট করা হবে বলে হুঁশিয়ারি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নিটফল শূন্য। কিছুতেই চিন’কে দমানো যাচ্ছে না। এই আবহেই ফের উপগ্রহ চিত্রে চাঞ্চল্যকর ছবি ধরা পড়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২২ জুলাই কৃত্রিম উপগ্রহ প্যাংগং হ্রদের উপর চিন নির্মিত সেতুটির ছবি তোলে। যাতে দেখা যাচ্ছে প্যাংগং হ্রদের উত্তর এবং দক্ষিণ তীরের একটি বিরাট অংশ জুড়ে কংক্রিটের সেতু বানিয়েছে চিনা সেনা। দৈর্ঘ্য ৪০০ কিলো মিটার। যার উপর দিয়ে হাল্কা ওজনের যান চলাচলও করছে। উপগ্রহ চিত্রে আরও দেখা যাচ্ছে, রাস্তার ওপর পর পর লাগানো হয়েছে বাতিস্তম্ভ।
এই সেতু নির্মাণের ফলে প্যাংগং হ্রগের উত্তর থেকে দক্ষিণ তীরে পৌঁছনো আরও সহজ হবে বলে মনে করছেন ড্যামিয়েন সাইমন। আগে প্রায় ৫০-১০০ কিলোমিটার ঘুরে তবে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পৌঁছনো যেত। কিন্তু সেতুটি নির্মাণের ফলে এই সময়সীমা অনেকটা কমে যাবে।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে জুনে প্যাংগং হ্রদের কাছে গালওয়ান উপত্যকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা শহিদ হন। পাল্টা চিন জানায়, ৪ জন লাল ফৌজেরও প্রাণ গিয়েছিল। কিন্তু, আদপে ওই সংখ্যা ৪০ বলে অনুসন্ধানমূলক নানা প্রতিবেদনে জানা গিয়েছিল।
যার পর দফায় দফায় শান্তি আলোচনা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত উভয়পক্ষ সমঝতায় রাজি হলেও চিন তার ঔদ্ধত্য কমায় নি। এই আবহেই ওই এলাকায় চিনের সেতু বানানোর অভিযোগ ওঠে। যা সম্পূর্ণ হয়েছে বলেই খবর।
গোটা ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে এক্স হ্যান্ডেলে দীর্ঘ পোস্ট করেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে। তিনি কেন্দ্রীয় সরকার’কে তীব্র কটাক্ষ করে বলেন, এটা কি সত্য নয় যে, প্যাংগং হ্রদের উত্তর-দক্ষিণকে সংযুক্ত করে চিন সেতুর ব্যবহার করছে? দেমচকে চিন আস্ত একটা গ্রাম গড়ে তুলছে?
নরেন্দ্র মোদি শপথ গ্রহণের পর থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে ২৫টি জঙ্গি হামলা হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের ডোডা, কাঠুয়া, রিয়াসিতে পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাস ছড়িয়ে পড়েছে, এও কি সত্য নয়? মোদি সরকারের উচিত মিথ্যে বাহাদুরি এবং ফাঁপা প্রচার বাদ দিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এর মোকাবিলা করা । এগুলো অত্যন্ত গুরুতর এবং স্পর্শকাতর বিষয়। যা দেশের জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। সংসদে বিষয়টি উত্থাপিত করতে হবে।