নয়াদিল্লি, ২৭ জুলাই: বিদেশে পড়তে যাওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে একটি স্বপ্ন। বছরে হাজার হাজার শিক্ষার্থী বিদেশে পাড়ি দেয়। অনেক সময় স্বপ্নপূরণ হয়, আবার বহু সময় অধরা থেকে যায়। কিন্তু সেই স্বপ্নকে ছাপিয়ে সরকারি তথ্যে বিদেশে ভারতীয় ছাত্রদের যে মৃত্যুর খবর তুলে ধরা হয়েছে, তা উদ্বেগ বাড়িয়েছে কেন্দ্র সরকারের। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিগত পাঁচ বছরে বিদেশে পড়তে যাওয়া ৬৩৩ জন ভারতীয় পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্ঘটনা ছাড়াও এই মৃত্যুর পিছনে অনেকগুলি কারণ আছে, তবে ৬৩৩টি মৃত্যুর মধ্যে কানাডার ১৭২টি ঘটনা এই তথ্যের শিরোনামে রয়েছে। শুক্রবার লোকসভায় মোদি সরকারের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং এই তথ্য তুলে ধরেছেন। অন্যদিকে এই সময়ে হামলার কারণে ১৯জন ভারতীয় ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে, কানাডা থেকে ৯টি ও মার্কিন মুলুক থেকে ৬টি মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী ৬৩৩ জনের মধ্যে ১০৮টি মৃত্যুর খবর এসেছে মার্কিন মুলুক থেকে, ৫৮টি ব্রিটেন থেকে, ৫৭টি অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া থেকে ৩৭ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। পাশাপাশি ১৮টি মৃত্যুর খবর এসেছে ইউক্রেন, জার্মানি থেকে ২৪, জর্জিয়া থেকে ১২, কিরগিজস্তান, সাইপ্রাস এবং চিন থেকে আটটি খবর পাওয়া গেছে।
‘মোদি সরকার’কা পুরা সিস্টেম হি লিক হ্যায়’ .. নয়া সংসদ ভবনের ছাদ চুঁইয়ে জল পড়া নিয়ে আক্রমণ কংগ্রেসের
হরিয়ানার স্কুলে লক্ষ লক্ষ ভুয়ো পড়ুয়া, কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি- তদন্তে সিবিআই
শীঘ্রই কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে টোল সংগ্রহ করবে সরকার- রাজ্যসভায় জানালেন নীতীন গড়কড়ি
মন্ত্রকের কাছে পাওয়া তথ্য অনুসারে, প্রাকৃতিক কারণ, দুর্ঘটনা এবং চিকিৎসা পরিস্থিতি সহ বিভিন্ন কারণে গত পাঁচ বছরে বিদেশে ভারতীয় ছাত্রদের মৃত্যুর ৬৩৩টি ঘটনার রিপোর্ট কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী এক লিখিত আকারে পেশ করেছেন।
বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং বলেছেন, বিদেশে ভারতীয় ছাত্রদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা প্রদান কেন্দ্র সরকারের শীর্ষ অগ্রাধিকারগুলির মধ্যে একটি। অপর একটি প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত তিন বছরে মোট ৪৮ জন ভারতীয় ছাত্রকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে নির্বাসিত করা হয়েছে। বিদেশে ভারতীয় মিশন/পোস্টগুলি বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে নথিভুক্ত ভারতীয় পড়ুয়াদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রাখে। মন্ত্রীর কথায়
অ-অনুমোদিত কর্মসংস্থান, বহিষ্কার এবং স্থগিতাদেশ, ঐচ্ছিক ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ কর্মসংস্থানের রিপোর্ট তৈরির ব্যর্থতা হল দেশে ফেরত পাঠানোর সম্ভাব্য কারণ। অনেক সময় ভিসা জটিলতার কারণেও একজন পড়ুয়ার ভিসা বাতিল হতে পারে, এবং শেষ পর্যন্ত নির্বাসিত হতে পারেন।