নয়াদিল্লি, ২৭ জুলাই: সাইবার চক্রের পর্দা ফাঁস করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (CBI)। বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণা চক্রের সাইবার টিম তৈরি হয়েছিল।
চক্রের মাথাকে খুঁজতে 'অপারেশন চক্র -৩' শুরু করে সিবিআই। তদন্তে নেমে সাইবার চক্রে ৪৩ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। শুক্রবার তদন্তকারী আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ইনোনেট টেকনোলজিস (OPC) প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি সংস্থার অধীনে এই অপরাধ চক্রের নেটওয়ার্ক পরিচালিত হচ্ছিল। ২০২২ সাল থেকে একাধিক দেশে সাইবার প্রতারণার চক্র চালায় সংস্থাটি।
সিবিআই সূত্রে খবর, অভিযান চালিয়ে এখনও পর্যন্ত ১৩০টি কম্পিউটার হার্ড ডিস্ক, ৬৫ টি মোবাইল ফোন, পাঁচটি ল্যাপটপ, অপরাধমূলক নথি, আর্থিক লেনদেনের বিশদ বিবরণ, কল রেকর্ডিং, ক্ষতিগ্রস্থদের বিশদ বিবরণ এবং ক্ষতিগ্রস্থদের টার্গেট করার জন্য ব্যবহৃত ট্রান্সক্রিপ্ট উদ্ধার করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছেন, দিল্লি, গুরগাঁও এবং নয়ডার সাতটি জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়েছে। তদন্তে জানা গিয়েছে ওই নেটওয়ার্ক আন্তঃদেশীয় সাইবার চক্র মূলত গুরুগ্রামের ডিএলএফ সাইবার সিটি থেকে পরিচালিত করা হত। সেখানে একটি কল সেন্টার থেকে অন্যান্য টিমের সঙ্গে তারা সমন্বয় তৈরি করত।
যৌথ অধিবেশনে আয়ুষ্মান ভারত নিয়ে ঘোষণা রাষ্ট্রপতির
'No safety, No Duty' আমরা এখানে মরতে আসিনি... আরজিকর কাণ্ডে দেশজুড়ে কর্মবিরতি চিকিৎসকদের, সামিল দিল্লির এইমস
রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাল বিজেপি
এফবিআই (USA) ও ইন্টারপোলসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সহযোগিতায় 'অপারেশন চক্র-৩' শুরু করে সিবিআই। এক পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, "সিবিআইয়ের ইন্টারন্যাশনাল অপারেশনস ডিভিশন ২০২৪ সালের ২২ জুলাই ভারতীয় দণ্ডবিধির (IPC) বিভিন্ন ধারার অধীনে মামলা দায়ের করেছিল। যার মধ্যে ১২০বি সহ ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮ এবং ৪৭১ ধারা এবং তথ্য প্রযুক্তি আইন, ২০০০ এর ৬৬ডি ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল।" ওই আধিকারিকের কথায়, "বৃহস্পতি ও শুক্রবার তল্লাশি চালিয়ে চক্রের বেশকিছু নথি উদ্ধার করা হয়েছে।"