পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: রাষ্ট্রপতি ভবনে নীতি আয়োগের বৈঠক থেকে রীতিমতো ক্ষিপ্ত হয়ে বেরিয়ে এলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবাদিকদের সামনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমাকে বলতে দেওয়া হয়নি। বৈঠক বয়কট করে বেরিয়ে এসেছি। আমাকে পাঁচ মিনিটের বেশি বলতে দেওয়া হয়নি। মাইক বন্ধ করে আমাকে অপমান করা হয়েছে। চন্দ্রবাবুকে ২০ মিনিট আর অসম ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রীদের ১৫-২০ মিনিট বলতে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাংলাকে বলতে দেওয়া হল না। বাংলার সঙ্গে বঞ্চনা। আর কোনওদিন নীতি আয়োগের বৈঠকে আসব না। এই বঞ্চনার প্রতিবাদে আমি বৈঠক ছেড়ে চলে এসেছি। মাইক বন্ধ করে দেওয়াকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি তাঁকে অপমান করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। এই সরকারের কাছে আমি ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ সহ বিভিন্ন বঞ্চনার কথা তুলে ধরছিলাম। তখনই বন্ধ করে দেওয়া হয় মাইক।
ফ্যাসিবাদ সরকারের ‘হ্যাঁ’-কে ‘না’ বলার অপরাধে জেলে উমর, মুক্তির দাবিতে মাঠে নামছেন এবার মানবাধিকার কর্মীরা
ওরা পার্টি অফিস ভাঙছে, আমরা ওদের সরকার ভাঙব: হুঁশিয়ারি দিলেন রাহুল
মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর মোদির সঙ্গে দেখা, 'সৌজন্য সাক্ষাৎ' দাবি হেমন্ত সোরেনের
তিনি বলেন, বিরোধীদের মধ্যে একমাত্র আমিই বৈঠকে হাজির ছিলাম। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শনিবার সকালে রাইসিনায় নীতি আয়োগের বৈঠকে হাজির হয়েছিলেন। বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার সাতজন মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে এই বৈঠক বয়কট করেছে।
তিনি আরও বলেন, আমি এই বৈঠকে এসেছি, তাতে আপনাদের খুশি হওয়ার কথা। তার বদলে আপনারা আপনাদের দলকে অতিরিক্ত সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছেন। এটা শুধু বাংলাকে অপমান করাই নয়, সমস্ত আঞ্চলিক দলের পক্ষে অপমান। এটা ঠিক নয়। যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার সহযোগিতামূলক বৃহত্তর স্বার্থকে শক্তিশালী করতেই আমি এসেছিলাম। কিন্তু, ওরা বাজেটেও রাজনৈতিক পক্ষপাত করে গিয়েছে। আমার প্রশ্ন, আপনারা কেন বিরোধীদের রাজ্যগুলির সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করছেন? মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নীতি আয়োগের কোনও আর্থিক ক্ষমতা নেই। ফলে এটা কাজ করবে কী করে? হয় নীতি আয়োগকে আর্থিক ক্ষমতা দিন অথবা পরিকল্পনা কমিশনকে ফিরিয়ে আনুন।