জলপ্রপাতের স্রোতে ভেসে গেল ৫ জন, উদ্ধার ৩ মৃতদেহ, বাকিদের খোঁজে তল্লাশি
ঝাড়খণ্ড সীমান্ত সিল করল রাজ্য দীর্ঘ লাইনে প্রতীক্ষায় ট্রাকগুলি
জলসঙ্কটে দিল্লির জল বন্ধ, অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশনে বসলেন আপ মন্ত্রী অতিশী
পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ নীতি আয়োগের শনিবারের বৈঠকের যোগ দিচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে দিল্লিতে পৌঁছে গেছেন তিনি। শুক্রবার চাণক্যপুরীর নতুন বঙ্গভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে চা চক্রে ঘরোয়া আলাপ চারিতায় মিলিত হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি জানান, কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ হওয়ার আগেই নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত তিনি নিয়ে ফেলেছিলেন। সেই কারণেই কংগ্রেস-সহ বিরোধী শাসিত বেশিরভাগ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কট করলেও তিনি অংশ নেবেন বলে জানিয়ে দেন। তবে বৈঠকে শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, অন্যান্য রাজ্যের বঞ্চনা নিয়েও তিনি সরব হবেন বলে জানিয়েছেন। তাঁকে বক্তব্য পেশে বাধা দিলে তিনি নীতি আয়োগের বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে আসবে বলেও নিজের সিদ্ধান্ত স্পষ্ট করে দিয়েছেন। পাশাপাশি এ দিন তিনি, বর্তমান নীতি আয়োগের পরিবর্তে পূর্বের প্ল্যানিং কমিশন ফিরিয়ে আনার পক্ষে মত প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, নীতি আয়োগে কাজের কাজ কিছুই হয় না- শুধু মুখ দেখানো আর ছবি তোলা ছাড়া। প্ল্যানিং কমিশনের বৈঠকে একটা সুনির্দিষ্ট চিন্তাধারা কাজ করত, সকলের একটা ধ্যান-ধারণা ছিল। কিন্তু নীতি আয়োগে সেসবের কোনও বালাই নেই। তাই স্বাধীনতার আগে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর তৈরি প্ল্যানিং কমিশনকে (যোজনা কমিশন) অবিলম্বে ফেরানো দরকার।
কংগ্রেস শাসিত রাজ্য-সহ বিরোধী পক্ষের মুখ্যমন্ত্রীরা নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কট করলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন যোগ দিচ্ছেন, তা নিয়ে ইণ্ডিয়া জোটের অন্দরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। অনেকে বিষয়টিকে বিরোধী শিবিরের মধ্যে মতপার্থক্যের জের বলেও দাবি করেছিলেন। তবে এ দিনের সাংবাদিকদের আলোচনায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বলেছেন, 'নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কট করার ভাবনাচিন্তা থাকলে সে বিষয়ে বিরোধী শিবিরের সবাইকে আগে থেকে একসঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিতে হত।'
পাশাপাশি মমতা এ দিন দাবি করেন, ‘ইণ্ডিয়া জোটের মধ্যে কোনও সমন্বয়ের অভাব নেই। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যদি আগে থেকে জানাত বাকিরা বয়কট করছে, তাহলে নীতি আয়োগের বৈঠক নিয়ে অন্যরকম ভাবতাম। ইণ্ডিয়া জোটে সমন্বয়ের কোনও অভাব নেই। প্রতিদিন লোকসভায় জোটের বৈঠক হচ্ছে। মত বিনিময় হচ্ছে।'
এ দিন তিনি কেন্দ্রীয় বাজেটের তীব্র সমালোচনা করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘এটা রাজনৈতিক বাজেট। বন্ধুদের সাহায্য করুক। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে অন্য রাজ্যকে কেন বঞ্চনা করা হবে? বাংলাকে বঞ্চনা করা হয়েছে।’
মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন, এবারের সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করার সময় চাননি তিনি। সময়ের অভাবে কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গেও তিনি দেখা করতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামিকাল নীতি আয়োগের বৈঠক শেষ করেই কলকাতার বিমান ধরবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।